দুর্ঘটনার-পর: বনগাঁ-বাগদা রোডে। নিজস্ব চিত্র
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুভাষ ঘরামি (৬২)। বাড়ি বনগাঁর চাঁদমাইল এলাকায়। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁরই চাঁদাবাজার এলাকায় বনগাঁ-বাগদা সড়কে। এই ঘটনার পরে ওই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে দেহ আটকে রেখে প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ দেহ তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। পরে আইসি সতীনাথ চট্টরাজ ঘটনাস্থলে যান। তিনি বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পুলিশ জানায়, বাসটি আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককেও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাইকেলে করে সুভাষবাবু চাঁদাবাজারে যাচ্ছিলেন। বাজার এলাকায় ঢোকার আগে পিছন থেকে একটি বাস সাইকেলে ধাক্কা মারে। তিনি ছিটকে পড়েন। তখন বাসের পিছনের চাকা তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দা ও গ্রামবাসীরা দেহ আটকে পথ অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে বাস-সহ নানা গাড়ি চলাচল করে। ফলে দুর্ঘটনা গেলেই থাকে।
গ্রামবাসীদের দাবি, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চাঁদাবাজারে পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ডরেল দেওয়া হয়েছে। তারপরও বাসের গতি কমেনি। তাঁরা স্পিড ব্রেকারের দাবি তুলেছেন। পুলিশ ওই এলাকায় দু’দিনের মধ্যে স্পিড ব্রেকার তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, বাগদা থেকে বনগাঁর দিকে যাওয়া বাসগুলি দ্রুত গতিতে চলে। নির্দিষ্ট সময়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতে না পারলে তাদের জরিমানা হয়। সেই কারণে চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালান। যদিও বাস শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘যখন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তখন বেপরোয়া ভাবে বাস চলানোর অভিযোগ তোলা হয়। যাত্রীদেরও সচেতন হয়ে রাস্তায় যাতায়াত করা উচিত। তবে আমরা চালকদের সঙ্গে আলোচনা ব্যবস্থা নেব।’’