Murder

Death: দাম্পত্য বিবাদে স্ত্রীকে খুন, আঘাতে সঙ্কটজনক স্বামীও

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই পরিবারটি অত্যন্ত নিম্নবিত্ত। ইট ও ছাউনি দিয়ে তৈরি একটি ছোট বাড়িতে থাকতেন দাস দম্পতি। তাঁদের দুই মেয়ে, এক ছেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দত্তপুকুর শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২২ ০৬:৫৫
Share:

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

দাম্পত্য বিবাদের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মহিলার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন স্বামীও। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকার সুভাষনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মায়ারানি দাস (৫৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্বামী প্রেমানন্দ দাস বারাসত হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারটি অত্যন্ত নিম্নবিত্ত। ইট ও ছাউনি দিয়ে তৈরি একটি ছোট বাড়িতে থাকতেন দাস দম্পতি। তাঁদের দুই মেয়ে, এক ছেলে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সংসারে অনটনের কারণে মায়ারানি ও প্রেমানন্দের মধ্যে বিবাদ এবং অশান্তি লেগেই থাকত। প্রেমানন্দ নেশাও করতেন। সব মিলিয়ে দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন বনিবনা ছিল না। তাঁদের ঝগড়া-বিবাদের সঙ্গে প্রতিবেশীরা পরিচিত ছিলেন।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা বাড়ির ছাদে উঠে মায়ারানির চিৎকার শুনতে পান। এর পরে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, খাটের উপরে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন প্রৌঢ়া। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। অন্য দিকে, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন প্রেমানন্দও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি বঁটি ও কাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই দু’টি জিনিস স্বামী-স্ত্রীর মারামারির সময়ে ব্যবহার হয়েছে। তাঁদের আরও ধারণা, ছুরির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে মায়ারানির। তাঁর গলায় ছুরির আঘাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। বারাসত হাসপাতালে প্রৌঢ়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। সেখানেই পরে প্রেমানন্দের অস্ত্রোপচার হয়।

দাস দম্পতির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তাঁদের মা-বাবার মধ্যে অশান্তি ছিল প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা। এ দিন সেটাই চরম আকার নেয়। কেন এই ভয়াবহ পরিণতি, প্রেমানন্দ একটু স্থিতিশীল হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন