নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে বিয়ের আসরে পৌঁছে যায় পুলিশ-প্রশাসন। তখন বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ দেখে পাত্রীর পরিবার তার আধার কার্ড এনে দাবি করে, পাত্রী নাবালিকা নয়। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে উঠে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। এর পর মেয়েটি যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে মেয়েটির স্কুলের নথি বের করতে বলেন তাঁরা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পাথরপ্রতিমার শ্রীনারায়ণপুর-পূর্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের মেহেরপুর এলাকায় ওই বিয়ের খবর পেয়েই পৌঁছে যাওয়া হয়েছিল। নির্দেশ পেয়ে প্রধান শিক্ষকও সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে লোক পাঠিয়ে দেন। নথি বের করে দেখা যায়, কন্যাশ্রীর ফর্ম অনুযায়ী মেয়েটির জন্ম ২০০০ সালে, অর্থাৎ, সে নাবালিকা। নথি দেখে ফের বিয়ের আসরে ফিরে আসে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিয়ের কাজ শেষ। পাত্র এবং পাত্রীও আসরে নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ফের আসতে পারে এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বিয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। পাথরপ্রতিমার বিডিও শক্তি বারা বলেন, ‘‘আধার কার্ড বয়সের প্রমাণ হতে পারে না। ওই রাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে মেয়েটির নথি বের করা হয়।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পূর্ণেন্দু পাত্র বলেন, ‘‘যদি তদন্ত করে দেখা যায়, মেয়েটির বাবা-মা সব জেনে এই বিয়ে দিয়েছেন তাহলে তাদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’