ভিড় সামলাতে চলার কথা ছিল একটি বড় এবং একটি ছোট বার্জ। কিন্তু কারিগরি ক্রুটির জন্য বড় বার্জটি বন্ধ থাকল শনিবার রাত পর্যন্ত। ফলে বড়দিনের আগের দিন বকখালি পৌঁছতে চুড়ান্ত ভোগান্তি হল পর্যটকদের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার সকাল থেকেই বকখালিতে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। বকখালি যেতে হলে নামখানার এসে বার্জ করে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরোতে হয়। ২৩ ডিসেম্বেরের মধ্যে বড় বার্জ চলার কথা থাকলেও শনিবার রাত পর্যন্ত সেটি না চলায় নদীর এ পারে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দীর্ঘ সময়ে দাঁড়িয়েও বার্জে উঠতে না পেরে ফিরে যান কয়েকজন। শনিবার রাতে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
যাদবপুর থেকে বকখালি এসেছিলেন মধুপর্ণা দাস। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘শনিবার ১২টা নাগাদ নদীর এ পারে পৌঁছে দেখি দীর্ঘ লাইন। বকখালি পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল।’’ বাগুইআটির বাসিন্দা সঞ্জীব পোদ্দার জানান, তিনি প্রায় ৬ ঘণ্টা বার্জের অপেক্ষায় ছিলেন। পর্যটকদের সুবিধার জন্য ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার দাবি তুলেছে বকখালি হোটেল মালিকদের সংগঠন।
বুধাখালি পঞ্চায়েতের অধীনে নিউ বকখালিতে রবিবার শ’পাঁচেক পর্যটক বনভোজন করতে এসেছিলেন। তাঁদেরও বার্জের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।