মিড ডে মিলের রান্না পুকুরের ঘোলা জলে

গ্রামে প্রায় ৭০০ লোকের বাস। এমনিতেই গ্রামের মানুষের অনেক অভিযোগ। তার মধ্যে আবার নলকূপও খারাপ। গ্রামবাসীরা জানালেন, গ্রামে কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকায় জল আনতে যেতে হয় নাথপাড়া বা মোল্লাপাড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মথুরাপুর শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

নলকূপ রয়েছে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর ধরে তা খারাপ। ফলে বছরের পর বছর ধরে প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের গ্রাম থেকে মথুরাপুর ১ ব্লকের সিজবেড়িয়া গ্রামের মানুষকে জল বয়ে আনতে হচ্ছে। প্রশাসন‌ের সব জায়গায় একাধিকবার জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

গ্রামে প্রায় ৭০০ লোকের বাস। এমনিতেই গ্রামের মানুষের অনেক অভিযোগ। তার মধ্যে আবার নলকূপও খারাপ। গ্রামবাসীরা জানালেন, গ্রামে কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকায় জল আনতে যেতে হয় নাথপাড়া বা মোল্লাপাড়ায়। অন্য পাড়ায় জল আনতে গিয়ে প্রতিনিয়ত অশান্তি লেগেই থাকে। পাশাপাশি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রেও নলকূপ নেই। পুকুরের ঘোলা জলেই মিড ডে মিলের রান্না হচ্ছে। ওই পুকুরের জলে চলছে বাসন ধোয়া। চলে গরু, ছাগল স্নান করানো। গরম কালে তলানি জল থেকে দুর্গন্ধও বেরোয়। মন্দিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে সিজবেড়িয়া। তবে জলের সমস্যা বিধায়ক জয়দেব হালদারের নাকি অজানা। শুনে তিনি অবাক। তাঁর কথায়, ‘‘সেকি, গ্রামে কোনও নলকূপ নেই! কেউ তো আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা তাপসী পুরকাইতের অভিযোগ, নলকূপের দাবিতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু ওই পুকুরের জল ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই। অত দূর থেকে এত জল নিয়ে আসা প্রতি দিন সম্ভব নয়। শুধু খাবার জলটা পাশের গ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়।

Advertisement

প্রবীণ বাসিন্দা তথা তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য নুরুল হক দর্জি বলেন, ‘‘গরু-ছাগল থেকে শুরু করে মানুষ, সকলেই ওই পুকুরের উপরে ভরসা করে বেঁচে আছে। এমন অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকতে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন