জঞ্জাল: বসিরহাটের নিকাশি নালা। নিজস্ব চিত্র
চারিদিকে জমে রয়েছে জল। আবর্জনা ছড়ানো এই নিকাশি নালার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া দায় এলাকাবাসীর। বাড়ছে মশার উপদ্রব। এক কথায় বলা যায়, এটিই মশার আঁতুড় ঘর।
কিন্তু তা-ও ভ্রূক্ষেপ নেই বাদুড়িয়া পুরকর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁরা জানালেন, কিছু মানুষ যত্রতত্র নোংরা ফেলেন। এই অভ্যাসের কারণেই রাস্তাঘাট, নিকাশি নালার এই হাল। প্লাস্টিকে ভরে রয়েছে নালা। সে কারণে নালার মুখও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
বাদুড়িয়া পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ড এই পুরসভার অন্তর্গত। কিন্তু মাঝে পড়ে পাঁচটি পঞ্চায়েত। ফলে এখানে বেশ কয়েকটি গ্রামও রয়েছে। সমস্যা হল পুর প্রকল্পের নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ পঞ্চায়েতের কাছে গিয়ে থেমে যায়। ফলে জল জমে থাকে যত্রতত্র।
গত বছর বাদুড়িয়া-সহ আশপাশের গ্রামে বহু মানুষ চিকনগুনিয়া এবং ডেঙ্গির মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই পুর ওয়ার্ডের নিকাশি নালা নোংরায় ভরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরএলাকা পরিষ্কার রাখার কোনও ইচ্ছাই নেই।
বাদুড়িয়ার প্রাণকেন্দ্র বাজার এলাকার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, স্টেট ব্যাঙ্ক, চৌমাথা বাস স্ট্যান্ড, রথতলা-সহ বহু জায়গাতেও জলে ভরা নিকাশি নালার মধ্যে আবর্জনা এবং মশা-মাছি থিক থিক করছে।
এই শহরের পাশ দিয়ে ইছামতী নদী গিয়েছে। কিন্তু নদীর সঙ্গে নিকাশি নালার কোনও সংযোগ নেই বললেই চলে। ফলে বৃষ্টি হলেই নালা উপচে রাস্তায় জল জমে।
পুরপ্রধান তুষার সিংহ জানান, শহর পরিষ্কার রাখার জন্য অত্যাধুনিক গাড়ি আনা হয়েছে। বালতি, ডাস্টবিন এবং ওয়ার্ডে নালা পরিষ্কারের জন্য লোকও রাখা হয়েছে। নোংরা ফেলার জন্য অনেক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবেই এলাকা পরিষ্কার থাকবে।’’