Dengue

দেগঙ্গার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মশারি বিলি করলেন সাংসদ

রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কাকলিদেবী। গত মাস দু’য়েকে জ্বর ও ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গার বহু মানুষের। কেউ বা সন্তান হারিয়েছেন। কেউ বাবা-মা হারিয়েছেন।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০১:০৭
Share:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবিকাদের হাতে মশারি তুলে দিচ্ছেন সাংসদ। —নিজস্ব চিত্র।

জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা যেন মশারি ছাড়া না থাকেন। সে জন্য দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্সদের হাতে মশারি তুলে দিলেন বারাসতের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

Advertisement

রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কাকলিদেবী। গত মাস দু’য়েকে জ্বর ও ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গার বহু মানুষের। কেউ বা সন্তান হারিয়েছেন। কেউ বাবা-মা হারিয়েছেন। কারও ঘরের কর্তা মারা যাওয়াতে সন্তান নিয়ে বসতে হয়েছে পথে। কিন্তু দেখা মেলেনি চিকিৎসক সাংসদের। প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন পর তাঁর আসার কারণ কী?

এ দিন সকালে প্রথমে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মহিদুল সাহাজি-সহ আরও অনেকে। তাঁরা দেখা করেন চিকিৎসকের সঙ্গে। জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই বেশ কিছু মশারি সাংসদ তুলে দেন কর্তব্যরত নার্সদের হাতে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তা বিলি করেও দিতে বলেন। এরপর তিনি যান চাকলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

Advertisement

কাকলিদেবী বলেন, “সংসদের কাজে কিছু দিন বাইরে ছিলাম। তবে স্বাস্থ্য দফতর, জেলা থেকেও চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারকি করেছি। সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।’’ তাঁর সংসদীয় এলাকার অন্যত্রও যেতে হয়েছে বলে জানান তিনি। তা ছাড়া এই মশারিগুলি তিনি নিজস্ব টাকায় কিনে এনেছেন বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন তিনি চাকলার রায়কোলা মল্লিকপাড়ায় জ্বরে মৃত সহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান। সহিদুল ওই বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। সহিদুলের স্ত্রী রেহেনারা বিবির হাতে মশারি, কম্বল, শাড়ি ও বেশ কিছু সামগ্রী তুলে দেন সাংসদ। এমন অনেক বাড়িতেই তিনি গিয়ে দেখা করেন।

রেহেনারা সাংসদকে জানান, তাঁর বড় ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। আর ছোট ছেলে কথাই বলতে পারে না। রেহেনারা বলেন, “স্বামী মারা যাওয়ার পর কী ভাবে সংসার চালাব জানি না। সরকারি সাহায্যের যদি ব্যবস্থা করেন তা হলে সংসারটা বাঁচবে।’’ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে সাংসদ প্রতিশ্রুতি দেন। এলাকায় সাংসদকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন করেন, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেন চিকিৎসক কম? বাড়তি চিকিৎসকের ব্যবস্থা নেই কেন? কাকলিদেবী বলেন, “পরিস্থিতি যখন খারাপ ছিল তখন বাড়তি চিকিৎসক দেওয়া ও জ্বরের এলাকায় স্বাস্থ্যশিবির করা হয়েছে।’’

তবে এখন এলাকার জ্বর ও ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছে। এত দিন গড়ে হাজার দু’য়েক রোগী আসছিলেন এখন তা কমে পাঁচশো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন