পুরভোট তো টি-২০, বললেন অভিষেক

বিভিন্ন দলের জেলা নেতাদের ক্ষোভ ছিল, কলকাতার পুরভোট নিয়ে এতই ব্যস্ত বড় নেতারা, জেলায় সময়ই দিচ্ছেন না কেউ। শনিবারই মিটেছে কলকাতার ভোট। রবিবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। তবে সামগ্রিক ভাবে এখনও প্রচারে সেই গতি দেখা যাচ্ছে কোথায়, প্রশ্ন স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ ও বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩২
Share:

জনসভায় পৌঁছলেন যুব তৃণমূল সভাপতি। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

বিভিন্ন দলের জেলা নেতাদের ক্ষোভ ছিল, কলকাতার পুরভোট নিয়ে এতই ব্যস্ত বড় নেতারা, জেলায় সময়ই দিচ্ছেন না কেউ। শনিবারই মিটেছে কলকাতার ভোট। রবিবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। তবে সামগ্রিক ভাবে এখনও প্রচারে সেই গতি দেখা যাচ্ছে কোথায়, প্রশ্ন স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে।

Advertisement

ভোটের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে অশোকনগর-কল্যাণগড়ে এসেছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুরসভার ২৩ জন প্রার্থীই হাজির ছিলেন মঞ্চে। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অভিষেক।

স্থানীয় কচুয়া মোড় এলাকায় ওই সভায় বক্তৃতা করতে উঠে ডায়মণ্ড হাবরারের সাংসদ অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, অশোকনগরের বিধায়ক ধীমান রায় প্রমুখ।

Advertisement

তবে এ দিনের জনসভার মূল আকর্ষণ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপো অভিষেকই। অভিষেক বলেন, ‘‘এ বার ভোট সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। ফলে টেস্ট ম্যাচ নয়, ভোটের দিন সকালেই টি-টোয়েন্টি ঢঙে ছক্কা মেরে আসতে হবে।’’

তাঁর মতে, এই পুরসভায় তৃণমূলের ২৩ জন প্রার্থীকে জেতানো মানে সিপিএম ও বিজেপিকে ২৩টা করে চড় মারা।’’

অভিষেকের বক্তব্যে স্থানীয় বিষয়গুলির বদলে সর্বভারতীয় রাজনীতির নানা প্রসঙ্গই উঠে আসে। বিজেপি তথা কেন্দ্রেও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

রবিবার বসিরহাটের সাঁইপালায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া। পুরভোটে নির্বাচন কমিশনার তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার পরেও কেন চেয়ার আগলে রয়েছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘রক্তপাত দেখল কলকাতা। বোমা-গুলিতে লুটিয়ে পড়ল মানুষ। প্রশাসনের কর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ, মানুষ যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করুন।’’ মহিলাদের প্রতি মানসবাবুর আহ্বান, ‘‘আপনারা এগিয়ে আসুন, দেখবেন গুন্ডা-মস্তানরা পিছিয়ে যাচ্ছে।’’

বসিরহাটের কাছারিপাড়ায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার উন্নয়নের নামে কেবল ক্লাবগুলিকে টাকা দিয়ে দান খয়রাতি শুরু করেছে। অথচ সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারছে না। যতই তাঁবেদারি করুক না কেন, পুলিশও ডিএ পাচ্ছে তৃণমূল মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে শাসক দলের সমালোচনা করেন তিনি।

বাদুড়িয়ায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘‘ বিরোধীরা যতই কুৎসামূলক প্রচার করুন না কেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের পাশে আছে এবং থাকবেন।’’ স্থানীয় উন্নয়নের দীর্ঘ ফিরিস্তি দেন সাংসদ।

সিপিএম নেতা নিরঞ্জন সাহা প্রচারে বেরিয়ে বলেন, ‘‘বসিরহাটের তিনটি পুরসভায় যেটুকু উন্নয়ন তা বাম আমলেই হয়েছে। মানুষ তাই বামেদের ফিরিয়ে আনতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। কলকাতার মত হিংসার ভোট না হলে এই মহকুমার তিনটি পুরসভায় ভাল ফল করবে বামপ্রার্থীরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন