প্রতিবাদ: বিক্ষোভে অস্থায়ী কর্মীরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
ঘেরাও হতেই বেড়ে গেল মজুরি!
দৈনিক ১৫৫ টাকা থেকে বেড়ে মজুরি দাঁড়াল ২০০ টাকায়। যদিও কামারহাটি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁদের মজুরি দৈনিক ২৫০ টাকা করতে হবে। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই মজুরি অত বাড়ানো সম্ভব নয়।
অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি-সহ বেশ কিছু দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভায় আন্দোলন চালাচ্ছিল দলেরই পশ্চিমবঙ্গ পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের কামারহাটি পুরকর্মী ইউনিট। দিন কয়েক আগে ওই সংগঠনের তরফে পুরভবনের ভিতরে বিক্ষোভ হয়েছিল। এর পরেই প্রকাশ্যে চলে আসে ওই আন্দোলন। সংগঠনের তরফে পুরসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। ওই মঞ্চ থেকেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার অনুরোধও জানান খোদ চেয়ারম্যান পারিষদ বিমল সাহা।
তাতেও দাবি মানতে রাজি হননি কর্তৃপক্ষ। এর পরেই মঙ্গলবার ভোর থেকে কাজ বন্ধ করে ঘেরাও শুরু করেন প্রায় ১২০০ অস্থায়ী কর্মী। ১০টা বেজে গেলেও পুরসভার গেটের তালা খুলতে বাধা দেন তাঁরা। ফলে স্থায়ী কর্মীদেরও বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বেশ কিছুক্ষণ।
শেষে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী মদন মিত্র এসে পুর চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সব কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। পরে মদনবাবু বলেন, ‘‘পুরবোর্ডের সকলের সম্মতিতে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যা চাওয়া হল, তা একবারেই দেওয়া সম্ভব নয়। ফের অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে ওঁদের সমস্যা মেটাতে চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’’
গোপালবাবু দাবি করেন, ২৮ এপ্রিলের বোর্ড মিটিংয়েই ৪৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনের যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনই কাজটাও মন দিয়ে করতে হবে। কারঁ, পরিষেবার জন্য নাগরিকদের থেকে নেওয়া টাকাতেই এই বেতন বৃদ্ধি হয়েছে।’’ গোপালবাবুর বক্তব্য, ‘‘নাগরিক পরিষেবার কাজে কোনওরকম কমতি রেয়াত করা হবে না।’’ এক মাসের মধ্যে সব অস্থায়ী কর্মীকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান পারিষদ বিমল সাহা বলেন, ‘‘কর্মীরা ২০০ টাকায় খুশি নন। ডিসেম্বরে ফের অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুর কর্তৃপক্ষ। তখন তাঁরা বাকি টাকার দাবি জানাতেই পারেন। কিন্তু কাজ বন্ধ রেখে পরিষেবা ব্যাহত করা ঠিক নয়।’’