Police Investigation

কলেজের ছাত্রীকে ‘বিষ খাইয়ে খুন’, অভিযুক্ত পড়শি যুবক

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গত প্রায় দু’বছর ধরে অভিযুক্ত যুবক চন্দ্রাণীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু চন্দ্রাণী তাতে রাজি ছিলেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০১
Share:

চন্দ্রাণী নস্কর।

কলেজছাত্রীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার রঘুদেবপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নামচন্দ্রাণী নস্কর (১৮)। তিনি ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজের পড়ুয়া ছিলেন। পাশাপাশি, একটি বেসরকারি স্কুলে আঁকা শেখাতেন। ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার চন্দ্রাণীর মৃত্যুর খবর এলাকায় জানাজানির পরে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরায় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। ভাঙচুরের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গত প্রায় দু’বছর ধরে অভিযুক্ত যুবক চন্দ্রাণীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু চন্দ্রাণী তাতে রাজি ছিলেন না। সে সময়ে চন্দ্রাণীর বাড়ির লোকজন দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হলেও তাতে রাজি হননি অভিযুক্ত ও তাঁর পরিজনেরা। জানা গিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর চন্দ্রাণী কম্পিউটার ক্লাসে গিয়েছিলেন। ফেরার সময়ে তাঁর পানীয়ে বিষাক্ত কোনও জিনিস মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকাকালীন বুধবার মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। সেই খবর এলাকায় আসতেই উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো হয়।

মৃতার বাবা মনোরঞ্জন নস্কর জানিয়েছেন, গত ৩০ নভেম্বর তিনি থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু এর পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি এবং অসহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ মনোরঞ্জনের। পুলিশের অবশ্য পাল্টা দাবি, ঘটনার পাঁচ দিন পরে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবকের খোঁজ চলছে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত দু’জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত দেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন