নালা উপচে আবর্জনা, দাপট মশার

নিকাশি ন‌ালার মুখে জমে রয়েছে প্লাস্টিক-সহ নানা আবর্জনা। ফলে এলাকার জল নিকাশি প্রায় বন্ধ। দিনের পর দিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নালাগুলিতে জমে রয়েছে জল। সেখানেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। দুর্গন্ধে টেকা দায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২১
Share:

নিকাশি ন‌ালার মুখে জমে রয়েছে প্লাস্টিক-সহ নানা আবর্জনা। ফলে এলাকার জল নিকাশি প্রায় বন্ধ। দিনের পর দিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নালাগুলিতে জমে রয়েছে জল। সেখানেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। দুর্গন্ধে টেকা দায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় অধিকাংশ ওয়ার্ডের বর্তমান অবস্থা এমনই।

Advertisement

গত বছর বর্ষার মরসুমে রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখে দিয়েছিল। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েকজনের। চলতি বছরের গোড়াতেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া রোধে পুরসভাগুলিকে অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু তার পরেও মশা মোকাবিলায় ডায়মন্ড হারবার পুরসভার হেলদোল নেই, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনটাই।

ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। সব ক’টি ওয়ার্ডেই রয়েছে নিকাশি নালা। সেই নালাগুলির অধিকাংশই মগরাহাট খালের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে সেই নালাগুলির উপরেই বেআইনি ভাবে বাড়ি এবং দোকান তৈরি হয়েছে। ফলে সেগুলি প্রায় অকেজো হয়ে গিয়েছে। শুধু নিকাশি নালাই নয়, পুর এলাকার বেশিরভাগ পুকুরই আবর্জনা ও কচুরিপানায় ভর্তি।

Advertisement

পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গিয়েছে, নানা জায়গায় তৈরি হয়েছে ঝোপঝাড়। বিশেষ করে ২, ৫, ৯, ১০, ১৫ এবং ১৬ ওয়ার্ডের নিকাশি নালাগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি হল পুরপ্রধানের নিজের ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের কালীবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, নানা জায়গায় জমে রয়েছে আবর্জনা। ঘুরছে মশা-মাছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি নালা সময়ে সাফাই হয় না। তাই দুর্গন্ধ এবং মশার দাপটে দিনের বেলাতেও দরজা-জানলা বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে।

পুরপ্রধান মীরা হালদারের অবশ্য দাবি করেছেন, প্রতিনিয়ত নিকাশি নালা সাফাই করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে ছড়ানো হয় মশা মারার তেল। তিনি বলেন, ‘‘তারপরেও কয়েকটি নিকাশি নালায় কেন জল জমে রয়েছে সেই বিষয়টি পুরসভার বাস্তুকার বিস্তারিত বলতে পারবেন।’’

পুরসভার নিকাশি নালার অবর সহকারি বাস্তুকার দেবাশিস মিদ্যা বলেন, ‘‘১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের নিচে নিকাশি নালার স্ল্যাবগুলি ভেঙে যাওয়ায় নালার মুখগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই জল নিকাশিতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানোর হয়েছে। ওরা পরিদর্শনে এলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওনা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন