বেহাল জেটি দিয়েই চলছে যাতায়াত। ছবি: দিলীপ নস্কর।
দিন কয়েক আগে দমকল জেটি দিয়ে ওঠার সময় ঘুটঘুটে অন্ধকারে সিঁড়ি ঠাওর করতে না পেরে পড়ে গিয়েছিলেন সোলেমান গাজি। তার পর থেকে তিনি কোমরের ব্যাথায় শয্যাশায়ী। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হা়ড়ে চিড় ধরেছে। শুধু সোলেমান গাজি নন, মাস কয়েকের মধ্যে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের দমকল জেটি ঘাটে ওঠানামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মনি নদীর এক দিকে রয়েছে পাথরপ্রতিমায় কুয়েমুড়ি জেটি ঘাট অন্য দিকে রায়দিঘির দমকল জেটি ঘাট। বছর কয়েকের মধ্যে এই দু’টি জেটি ঘাটে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু দমকল জেটির পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি। ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই জেটি নিয়ে খেয়া পারাপার চলে। যাতায়াত করেন কুলতলি, পাথরপ্রতিমার ব্লকের আই প্লট, জে প্লট, কে প্লট, মৈপিঠ, কুয়েমুড়ি সুরেন্দ্রগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ন ঘাটে নেই আলো, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার। মেলে না পরিশ্রুত পানীয় জল। সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বার বার জানালো হলেও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোরজ্ঞন মণ্ডল, সমর গিরি, ইয়াসিন গাজিদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে ওই জেটিতে কোনও আলো থাকে না। প্রায় হাতড়ে হাতড়ে জেটিতে উঠতে হয়। শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় পড়ে শিশু এবং মহিলারা।
সিপিএম পরিচালিত নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রাজকৃষ্ণ বৈরাগী বলেন, ‘‘তহবিলে টাকা নেই। তাই ওই জেটির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা যাচ্ছে না।’’ যদিও মথুরাপুর ২ ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিডিও বাপ্পাদিত্য রায় বলেন, ‘‘ওই জেটিটির অবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে অন্য প্রকল্প থেকে অর্থের ব্যবস্থা করে জেটিটি সারানো হবে।’’