Coronavirus in West Bengal

মিলছে না খাবার, জল-বিদ্যুৎও নেই অনেক কোয়রান্টিন সেন্টারে

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোয়রান্টিন সেন্টারের পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তুষ্ট পরিযায়ী শ্রমিকরা। অভিযোগ, অধিকাংশ সেন্টারেই বিদ্যুৎ,পানীয় জল, শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা করা হলেও সেখানে খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ। বাড়ি থেকে খাবার, পানীয় জল সরবরাহ করতে হচ্ছে।

Advertisement

ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। ব্লক হাসপাতালে স্ক্রিনিংয়ের পর যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি আছে তাঁদেরকে কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, পথের সাথী, কর্মতীর্থ হাবে কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে। অভিযোগ অধিকাংশ সেন্টারেই বিদ্যুৎ,পানীয় জল, শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। অনেক জায়গাতে আবার আমপানের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। যে কারণে পানীয় জল,শৌচালয়ের জলের রীতিমতো সমস্যা তৈরি হয়েছে।

ভাঙড়ের বাসিন্দা মুজিদ মোল্লা বলেন, “আমার এক আত্মীয় মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। সরকারি নির্দেশ মেনে তাঁকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। একটি কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। অথচ সেখানে তাঁকে কোনও খাবার দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে বলা হচ্ছে, বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসে খাওয়ার জন্য।”

Advertisement

প্রথম দিকে সরকারি অবজারভেশন সেন্টার বা কোয়রান্টিন সেন্টারে রোগীদের খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বা পর্যবেক্ষণে থাকা করোনা-সন্দেহজনক রোগী খাবার, পানীয় জল না থাকার কারণে কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকতে চাইছেন না।

ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “আগে সরকারিভাবে কোয়রান্টিন সেন্টারে রোগীদের খাবারের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দৈনিক একজন রোগীর পেছনে খাওয়ার খরচ প্রায় ১৮০ টাকা পড়ে যাচ্ছে। সরকারি ভাবে টাকা বরাদ্দ না হলে রোগীদের খাবার দেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি আরো বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জলের সমস্যা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি জেনারেটর চালিয়ে পাম্পে জল তোলার। বাইরে থেকে রোগীদের খাওয়ার জন্য জল কিনেও আনা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন