মোটর বাইক চালানোটা আমার দীর্ঘদিনের নেশা। কর্মসূত্রে ইউরোপের বেশ কয়েকটা দেশে ঘুরেছি। সব জায়গাতেই গিয়ে একখানা বাইক কিনে ফেলি। চারচাকার থেকেও বাইক চালানোটা আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। মোটর বাইকে অ্যাডভেঞ্চার করা তো বটেই, বাইক রেসিংয়েও অল্পবিস্তর নামডাক আছে আমার। সেই সূত্রেই জানি, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা কবচ সঙ্গে রেখেই সমস্ত অ্যাডভেঞ্চার করা উচিত। অযথা সাহস দেখিয়ে বিপদ ডেকে আনাটা উচিত নয়।
জার্মানি, ব্রিটেন- সহ ইউরোপের সব জায়গাতেই দেখেছি, হেলমেট পরাটা এখানে নতুন করে কাউকে শেখাতে হয় না। নিউজিল্যান্ডে এসে দেখলাম, হেলমেট পড়ার চল এখানেও। আর হেলমেট মাথায় না চাপালে পুলিশ ধরলে রাস্তায় দেড়শো ডলার জরিমানা দিতে হয়। যে সব বেপরোয়া তরুণ-তরুণী মোটর হেলমেট না প়রার মধ্যেই হিরোগিরি খুঁজে পায়, তাদের জন্য আছে আইনের কড়া শাসন। কিন্তু আমার মতো যাঁরা কিছুটা অন্তত মোটর বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তাঁরা হেলমেট ছাড়া রাস্তায় গাড়ি বের করবেন না কখনওই।
শুনলাম পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতায় নাকি হেলমেট না পরলে পেট্রোল পাম্প থেকে তেলই দিচ্ছে না। এটা তো খুবই ভাল কথা। কিন্তু তার মানে এত দিন হেলমেট নিয়ে ঢিলেঢালা আইন ছিল ওখানে? এটা কিন্তু উচিত নয়। যাই হোক, আইনের চোখরাঙানিতে যদি সকলের সুবুদ্ধি ফেরে, সেটাই আশার কথা।
আমার তো দু’টো হাত, দু’টো পা, একটা মাথা। সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব তো আমারই। শুধু আইন করে এ ব্যাপারে সবটা সুফল পাওয়া যাবে না বলেই মনে হয়। আসলে সচেতনতা বাড়ানোটা অনেক বেশি দরকার। বাইক যিনি চালাচ্ছেন তিনিই শুধু নন, সঙ্গে আরোহী কেউ থাকলে তাঁরও হেলমেট অবশ্যই পড়া উচিত।