কাকদ্বীপ মর্গে নেই স্থায়ী কর্মী, ব্যাহত পরিষেবা 

কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে স্থায়ী ডোম না থাকায় দেহ ময়নাতদন্ত করতে এসে হয়রানির শেষ থাকে না মৃতের পরিবারের। অভিযোগ, দেহ ব্যবচ্ছেদের পরে মৃতের পরিবারের সঙ্গে টাকার দরাদরি নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা বাধে অস্থায়ী ডোমের।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৫
Share:

কাকদ্বীপ মর্গ। নিজস্ব চিত্র

কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে স্থায়ী ডোম না থাকায় দেহ ময়নাতদন্ত করতে এসে হয়রানির শেষ থাকে না মৃতের পরিবারের। অভিযোগ, দেহ ব্যবচ্ছেদের পরে মৃতের পরিবারের সঙ্গে টাকার দরাদরি নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা বাধে অস্থায়ী ডোমের।

Advertisement

কাকদ্বীপ বহু বছর আগে আলাদা মহকুমা হলেও সেখানে আলাদা কোনও পুলিশ মর্গের ব্যবস্থা হয়নি। কাকদ্বীপ মহকুমায় দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে দেহ ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের মর্গে আনা হত আগে। ওই হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার। পুলিশ-প্রশাসনেরও তাতে অসুবিধা হত।

২০১৫ সালে অগস্ট মাস থেকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশে একটি ভবনে চালু হয় পুলিশ মর্গ। ওই মর্গে কাকদ্বীপ মহকুমার চারটি ব্লকের ৭টি থানা ও কোস্টাল থানা এলাকার দেহ আনা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে মাসে ৮০-৯০টি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আসে। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ এই মর্গে নেই কোনও স্থায়ী কর্মী। একজন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁকে সব সময়ে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। দেহ ব্যবচ্ছেদের পরে প্রায়শই ডোম উল্টোপাল্টা দর হাঁকেন। মৃতের পরিবারের লোকজন ওই পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তর্কাতর্কি বাধে। গত ক’বছরে এই দরাদরি নিয়ে একাধিকবার ডোমের সঙ্গে মৃতের পরিবারের মারপিট পর্যন্ত হয়েছে। মর্গ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। কাকদ্বীপ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে ট্রলার দুর্ঘটনায় ৭-৮টি দেহ উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। কিন্তু মর্গে অস্থায়ী ডোমের দেখা না পাওয়ায় কলকাতার এক হাসপাতাল থেকে ডোম এনে ময়নাতদন্ত করাতে হয়।

দেহ রাখার জন্য মর্গে মাত্র ৬টি চেম্বার। চেম্বারের সংখ্যাও বাড়ানো দরকার। কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার রাজর্ষি দাস বলেন, ‘‘ওই ডোমকে মাত্র ৭ হাজার ২০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। সামান্য ওই বেতনে ডোমের চলে না বলে তিনি জানিয়েছেন। সরকারি ভাবে নিয়োগ হলে ওই ডোমেই পাবেন সাড়ে ১৬ হাজার টাকা। স্থায়ী ডোম নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।’’ কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন