এ ভাবেই তোলা হচ্ছে টাকা। নিজস্ব চিত্র।
এটিএমে কোনও নেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী। ফলে একজন টাকা তুলতে ঢুকলে পিছনে আরও একজনও ঢুকে পড়ছে। কিন্তু কেউ বাধা দেওয়ার নেই।
বসিরহাটের বেশির ভাগ এটিএমেরই এমন অবস্থা। এতে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। এ বিষয়ে পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘এটিএমে নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন। টাকা তোলার সময় কেউ কারও পিন নম্বর যাতে না দেখতে পান সেই ব্যবস্থাও এটিএমে করা উচিত। এখানকার টাকা তোলার মেশিনে কোনও গার্ড নেই।’’
যে হারে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা প্রতারণার ঘটনা ঘটছে তাতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে সব জায়গায় সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আর এখানে এটিএমগুলিতে একটি নিরাপত্তারক্ষীও নেই। অথচ এটিএমে যা ভিড় তাতে গোপনীয়তা বজায় রেখে এটিএম থেকে টাকা তোলাও মুশকিল। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে জানিয়েছেন। বসিরহাট শাখার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএমের নিরাপত্তারক্ষী, টাকা তোলার পরে এসএমএস-সহ বিভিন্ন বিষয়গুলির জন্য এজেন্সির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে সিভিক ভলান্টিয়ারও দেওয়ার কথাও হয়েছে। কিন্তু মাস গেলে ওই এজেন্সিরা ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করছে না। অনেক জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছে এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী নেই।
হিঙ্গলগঞ্জের সরকারি একটি ব্যাঙ্কের সামনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে লম্বা লাইন। এটিএমের ভিতরেও একই অবস্থা। তারই মধ্যে কোনও রকমে ঠেসাঠেসি করে দাঁড়িয়ে টাকা তুলছে গ্রাহকেরা।
এ ভাবে এটিএমের পিন নম্বর কিছুতেই গোপন রাখা সম্ভব নয় বলে জানান গ্রাহক কল্পনা মণ্ডল নামে এক মহিলা। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে একজন করে এটিএমে ঢোকার কথা। সেখানে পর পর লোক ঢুকে পড়ছে। সবার সামনেই পিন নম্বর দিতে হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষী থাকলে এমনটি হয়তো হত না।’’