ভ্যাট নেই, ভাঙড়ে খালেই বাজারের আবর্জনা

সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছিল ভাঙড়ের বাগজোলা-কুলটি কাটা খাল। অভিযোগ, সেই খালে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার ও ভাঙড় বাজার এলাকার সমস্ত নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে, এক দিকে যেমন ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে আবার মজে যেতে বসেছে ওই খাল, তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৬ ০১:৪২
Share:

এ ভাবেই খালে ফেলা হয় আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছিল ভাঙড়ের বাগজোলা-কুলটি কাটা খাল। অভিযোগ, সেই খালে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার ও ভাঙড় বাজার এলাকার সমস্ত নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে, এক দিকে যেমন ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে আবার মজে যেতে বসেছে ওই খাল, তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই এলাকায় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভ্যাটের। কিন্তু আজও সেই ভ্যাট তৈরি না হওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ী বা স্থানীয় লোকজন নোংরা আবর্জনা সবটাই ফেলেন ওই খালে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল মোল্লা, সন্দীপ বিশ্বাসরা বলেন, ‘‘এলাকায় আবর্জনা ফেলার জন্য সরকারি ভাবে কোনও ভ্যাট তৈরি হয়নি। আবর্জনা ফেলার কোনও জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে সকলেই ওই খালে নোংরা ফেলে।’’

রাত হলেই দেখা যায়, বাজারের ব্যবসায়ীরারা তাঁদের দোকানের সমস্ত দিনের নোংরা আবর্জনা ঝুড়ি করে নিয়ে এসে খালে ফেলছেন। শুধু তাই নয়, বাজারের ঝাড়ুদারেরাও বাজার ঝাঁট দিয়ে সমস্ত আবর্জনা খালে ফেলেন। পথ চলতি মানুষ নাকে রুমাল চেপে কোনও মতে পেরোন পথটুকু। এক সব্জি বিক্রেতার কথায়, ‘‘যে সমস্ত সব্জি পচে যায়, তা ফেলার কোনও জায়গা নেই বললে জানালেন। বাধ্য হয়ে রাতের দিকে দোকান বন্ধ করে পচা সব্জি খালেই ফেলি।’’

Advertisement

ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাজার এলাকায় তেমন জায়গা নেই, যেখানে ভ্যাট তৈরি করা যায়। ব্যবসায়ীদের বার বার বারণ করা সত্ত্বেও তাঁরা কোনও কথা শুনতে চান না। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে বাজারের ময়লা খালে ফেলেন। সত্যি এটা একটা বড় সমস্যা। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি, কী ভাবে সমাধান করা যায়।’’ ভাঙড় ২ বিডিও অয়ন দত্তগুপ্ত বলেন, ‘‘আমার কাছে এ নিয়ে কেউ কখনও কোনও অভিযোগ করেনি। তবে খালে এ ভাবে আবর্জনা ফেলা ঠিক নয়। প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেবো। বাজার এলাকায় কী ভাবে ভ্যাট তৈরি করা যায়, তা দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন