উদ্ধার হওয়া নকল লটারির টিকিট। —নিজস্ব চিত্র।
‘‘এক টিকিটে ভাগ্য খুলে যাবে।’’ প্রচারে ভুলে অনেকেই সেই লটারির টিকিট কিনেছেন। কিন্তু সবই ভুয়ো! নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে বিপুল পরিমাণ নকল লটারির টিকিট উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বসিরহাট থানা এলাকার বিরামনগরে বাড়ি অভিযুক্ত সাহেব আলি সর্দারের। বিশেষ সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে অভিযান করা হয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে নামি কোম্পানির প্রচুর নকল লটারির টিকিট উদ্ধার করেছে। ঘটনাক্রমে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সাহেবকে হাজির করানো হচ্ছে বসিরহাট মহকুমা আদালতে।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বিগত কিছু দিন ধরে বসিরহাট থানায় বিভিন্ন জায়গায় নকল লটারির টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। বিভিন্ন গ্রাম এবং বাজার থেকে এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছেও। তারই তদন্তে নেমে সাহেব নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি একা নন, নকল লটারির টিকিট ছাপানো এবং বিক্রির সঙ্গে একটি চক্র জড়িত বলে মনে করছে পুলিশ। সাহেব সেই চক্রের অন্যতম মাথা বলে অনুমান। কোন ছাপাখানায় ওই লটারির টিকিন্ট ছাপানো হত, এই চক্রের মাথা কারা, এ সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় লটারি পাইকারি বিক্রেতা সুমন হালদার বলেন, ‘‘বহু দিন ধরেই বসিরহাটের মানুষ (লটারির ক্রেতা) তাঁরা দোকানে এসে বলতেন, বিভিন্ন ফেরিওয়ালা বা কারও কাছ থেকে লটারির টিকিট কিনছেন। কিন্তু কখনও তাঁরা লাভের মুখ দেখেননি। এ রকম অভিযোগ বহু দিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছে। খতিয়ে দেখার পর আমরা বুঝতে পারি, ওই সমস্ত লটারির টিকিটই নকল। যাঁরা কিনছেন, তাঁরা ঠকছেন। এমনকি, এই লটারি ব্যবসার সঙ্গে একটা অসাধুচক্র কাজ করছে। এর পর আমরা বসিরহাট থানায় অভিযোগ করি। আমরা চাই, দ্রুত এই অসাধু কাজ বন্ধ হবে।’’