রাস্তার দুই পাশ জুড়ে জমে রয়েছে আবর্জনা। ক্যানিং ফেরি ঘাট রোড থেকে মাছ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা দিয়ে এখন দুর্গন্ধে হেঁটে যাওয়াই দায়।
ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে ওই রাস্তাটি তৈরি হয়। খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। তার পর থেকে সুন্দরবন-সহ আশপাশের এলাকা থেকে অনেক গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে কাকদ্বীপের মাছ বাজরগুলিতে যায়। সময়ও কম লাগে। কিন্তু আস্তে আস্তে ওই রাস্তার দু’পাশ আবর্জনা ফেলার জায়গা হয়ে উঠেছে। তাই যাতায়াতে এখন অনেকেই ওই রাস্তা ব্যবহার না করে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তার আশপাশের ব্যবসায়ীরাই বাজারের আবর্জনা এন ওই রাস্তার দু’পাশে ফেলছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই রাস্তার দু’পাশ থেকে আবর্জনা সাফাই করুক প্রশাসন।
ক্যানিঙের এক ব্যবসায়ী বলেন, এলাকায় অনেকগুলি বাজার থাকলেও আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। প্রশাসন যদি ভ্যাট তৈরি করে দেয় তাহলে সেখানে আবর্জনা ফেলা যাবে।
ওই রাস্তাটি মাতলা ১ পঞ্চায়েতের অধীনে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান তথা বাজার কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তপন সাহা বলেন, দিন কয়েক আগে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তাটির দু’পাশ সাফাই করা হলেও কিন্তু ওই জায়গা নিয়মিত সাফাই করার টাকা নেই।
ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাসের দাবি, ওই রাস্তার উপরে আবর্জনা ফেলা নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে তাদের রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলতে বারণ করা হয়। কিন্তু তারপরেও কেন রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আমরা নির্দিষ্টি ভ্যাট তৈরির চেষ্টা করছি।