আনন্দবাজারের সাফল্য

অবৈধ মাটি কাটা রুখতে অভিযান

কৃষি জমি থেকেই গভীর করে মাটি কেটে নিচ্ছে একের পর যন্ত্র। সেই মাটি বোঝাই হচ্ছে ট্রাক, ও ডাম্পারে। সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর জানার পরে মঙ্গল ও বুধবার শাসন-খড়িবাড়ি-সহ বারাসত ২ নম্বর ও দেগঙ্গা ব্লকে হানা দিয়ে এ দৃশ্যই দেখলেন ভূমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

কৃষি জমি থেকেই গভীর করে মাটি কেটে নিচ্ছে একের পর যন্ত্র। সেই মাটি বোঝাই হচ্ছে ট্রাক, ও ডাম্পারে। সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর জানার পরে মঙ্গল ও বুধবার শাসন-খড়িবাড়ি-সহ বারাসত ২ নম্বর ও দেগঙ্গা ব্লকে হানা দিয়ে এ দৃশ্যই দেখলেন ভূমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের কর্তারা। বাজেয়াপ্ত হল সেই সব যন্ত্র, গ্রেফতারও হলেন মাটি কারবারি। অভিযোগ, প্রতিদিন ৫০-৬০ লক্ষ টাকার মাটি পাচার হচ্ছিল ওই এলাকা থেকে। এর পর আর ‘এক ছটাকও’ মাটি কাটা হলে গ্রেফতার করা হবে বলে এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভুমি সংস্কার দফতর) দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য।

Advertisement

কৃষি জমির মাটি কাটা যায় না। অন্যত্র মাটি কাটতে গেলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি নিতে হয়। অন্যথায় সেই জমিকে পুরোনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়াও জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে সে সব আইনের তোয়াক্কা না করেই শাসন-সহ গোটা এলাকার কৃষি জমি, ভেড়ি থেকে দিনে-রাতে চলে মাটি কাটা। সেই মাটি চলে যায় ইটভাটা ও নিচু জমি ভরাটের কাজে। গোটা কাজটাই বেআইনি বলে দ্রুত গতিতে চলা মাটির গাড়িতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা, মৃত্যু লেগেই থাকে।

মঙ্গলবার বারাসতের মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মহকুমা শাসক শুভ্রকান্তি রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হানা দেয় শাসন-সহ বারাসত ২-এর বিভিন্ন এলাকায়। প্রথমেই চৌমাহায় দেখা যায়, প্রচুর মাটি কাটা হচ্ছে। সেখান থেকে মাটি কাটার যন্ত্র আটক করে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় নিজামুদ্দিন এহেসান নামে এক মাটি কারবারিকে। বেশ কিছু জায়গা থেকে মাটি কারবারিরা পালিয়ে গেলেও দাদপুর, পাকদহ, মিতপুকুরিয়া এলাকায় চলছিল মাটি কাটার কাজ। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘‘এলাকাগুলি চিহ্নিত হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত টহলদারি চলবে।’’

Advertisement

শাসন ও দেগঙ্গা থেকে দু’দিনে বেশ ক’টি মাটি কাটার যন্ত্র ও ট্রাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দিব্যেন্দুবাবু এ দিন বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মাটি কাটা চলছিল। দু’দিন ধরে হানা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। গোটা জেলায় এমন অভিযান চলবে। কেউ মাটি কাটছে খবর পেলেই গ্রেফতার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন