ভাঙড়ে তৃণমূলের পাল্টা সভা বিরোধীদের

গুলিচালনার ঘটনা এবং দুই স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর এক মাস পরে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে সভা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। রবিবার ভাঙড়ের মাটিতেই তার ‘পাল্টা’ সভা করল জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪২
Share:

গুলিচালনার ঘটনা এবং দুই স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর এক মাস পরে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে সভা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। রবিবার ভাঙড়ের মাটিতেই তার ‘পাল্টা’ সভা করল জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবার আন্দোলন এলাকা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে শ্যামনগর স্কুল মাঠে আয়োজিত তৃণমূলের সভায় বহিরাগত দিয়ে মাঠ ভরানোর অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। যদিও এ দিন কমিটির সভায় বাস, ম্যাটাডর করে সভায় লোক আসতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন ভাঙড়ের নতুনহাটের তপোবন মাঠে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায় সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা তথা যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, আরএসপির রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্র, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পান্ডা, পি়ডিএসের রাজ্য সম্পাদক সমীর পুততুন্ড, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র প্রমুখ। সভা চলাকালীন মঞ্চে আসেন সিপিআই রেড স্টারের নেতা তথা ভাঙড়ের জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ অলীক চক্রবর্তী। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এ দিনের সভায় ভাঙড় ছাড়াও গাজিপুর, রাজারহাট, হাড়োয়া, মিনাখাঁ থেকেও লোক আনা হয়েছিল।

এ দিন অলীকবাবু দাবি করেন, ‘‘এ দিনের সভা শাসকদলের জনসভার পাল্টা। সভায় মানুষের বিপুল উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, তাঁরা পাওয়ার গ্রিড চান না।’’ তাঁর কটাক্ষ, ভাঙড়ের ঘটনার পরে রাজ্য সরকার বিধানসভায় নতুন বিল এনেছে। কিন্তু জেলাশাসক এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী পাওয়ার গ্রিড নিয়ে আলোচনার কথা বললেও তাঁরা সেটি করছেন না। কিন্তু শমিষ্ঠা যাঁর মোটরবাইকের পিছনে বসেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। অলীক জানান, ভাঙড়ের মানুষ যে পাওয়ার গ্রিড চান না, সেটি প্রমাণ করতে সোমবার থেকে সই সংগ্রহ শুরু হবে। পরে তা পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।সভায় অন্যান্য বক্তারাও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। সুজনবাবু বলেন, ‘‘ভাঙড়ের আন্দোলনের সলতে পাকিয়েছিল অলীক, শমিষ্ঠা ও তাঁদের বন্ধুরা। অলীকদের দল কোনও নিষিদ্ধ দল নয়।’’ এ দিন প্রশাসনের কাছে পাওয়ার গ্রিড তৈরির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, ধৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তি-সহ কয়েক দাবি পেশ করেন আন্দোলনকারীরা। এ দিন ভাঙড়ের গোলমালের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে সভামঞ্চ থেকে কাছে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করে জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন