ভাতা পাচ্ছেন না প্রধান-উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যেরা

শুধু নতুন সদস্য নয়, পুরনো পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রাপ্য সাম্মানিক ভাতাও এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রায় এক বছর হতে চলল পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্যেরা মাসিক সাম্মানিক ভাতা পাচ্ছেন না— এমনই অভিযোগ বাসন্তী ব্লকের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের।

Advertisement

শুধু নতুন সদস্য নয়, পুরনো পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রাপ্য সাম্মানিক ভাতাও এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বাসন্তী ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও সদস্য সংখ্যা ২৩১ জন। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩৯ জন এবং জেলা পরিষদের তিন জন সদস্য রয়েছেন। অভিযোগ, বোর্ড গঠন হয়ে যাওয়ার পরে ১১ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিরা ভাতা পাননি। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি ভারতগড় পঞ্চায়েতের প্রধান নলিনীকান্ত সর্দার বকেয়া সাম্মানিক ভাতা চেয়ে বাসন্তী ব্লকের বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন। বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে টাকা না আসায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছি। টাকা এলে অবশ্যই দিয়ে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ সদস্যদের মাসিক সাম্মানিক ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন এ বার থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা মাসিক ৯ হাজার টাকা করে সাম্মানিক ভাতা পাবেন। আগে তাঁরা ৬ হাজার ৫০০ টাকা পেতেন। সহ সভাধিপতিরা আগে ৫ হাজার টাকা পেতেন। তা বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষেরা আগে ৪ হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করা হয়েছে। সাধারণ জেলা পরিষদ সদস্যেরা আগে দেড় হাজার টাকা করে পেতেন। তা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা আগে সাড়ে তিন হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। সহ-সভাপতিরা ৩ হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষেরা আগে আড়াই হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা যাঁরা দেড় হাজার টাকা পেতেন, তাঁদের ভাতা বাড়িয়ে সাড়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা আগে ৩ হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। উপপ্রধানরা আগে ২ হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের বা উপসমিতির সঞ্চালকদের ৩ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যেরা আগে দেড় হাজার টাকা পেতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাসন্তীর ভরতগড় পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সুজন সরকারের আক্ষেপ, ‘‘বর্ধিত ভাতা তো দূরের কথা আগে পঞ্চায়েত সদস্যদের ন্যূনতম যে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হত, তা-ও প্রায় ১১ মাস ধরে বাকি পড়ে রয়েছে।’’ পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়া থেকে শুরু করে এলাকায় সরকারি বিভিন্ন কাজে ঘোরাঘুরি করতে হয় সদস্যদের। প্রচুর গাড়ি ভাড়া। সেই টাকাও জুটছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন