অটোস্ট্যান্ডে নিত্য ভোগান্তি যাত্রীদের

জমি পূর্ব রেলের। সেখানে স্ট্যান্ড তৈরি করেছে অটো ইউনিয়ন। ব্যবহার করেন সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু সেখানে নূন্যতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু নেই বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। খোলা আকাশের নীচে লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হন হাজার খানেক যাত্রী। যাত্রীদের ভিড়ে যানজট তৈরি হয়। এই চিত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ রেল স্টেশন সংলগ্ন অটো স্ট্যান্ডে।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৬ ০০:২৮
Share:

অটোর অপেক্ষায়। — নিজস্ব চিত্র

জমি পূর্ব রেলের। সেখানে স্ট্যান্ড তৈরি করেছে অটো ইউনিয়ন। ব্যবহার করেন সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু সেখানে নূন্যতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু নেই বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। খোলা আকাশের নীচে লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হন হাজার খানেক যাত্রী। যাত্রীদের ভিড়ে যানজট তৈরি হয়। এই চিত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ রেল স্টেশন সংলগ্ন অটো স্ট্যান্ডে।

Advertisement

শিয়ালদহ-বজবজ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বজবজ। গঙ্গার ওপারে হাওড়ার অনেকে এই স্টেশন ব্যবহার করেন। কিন্তু এই স্ট্যান্ডটি নিয়ে নিত্যযাত্রী নানা অভিযোগ রয়েছে।স্টেশন সংলগ্ন এই স্ট্যান্ডটি থেকে পাঁচটি রুটের অটো যায়। চড়িয়াল, বিড়লাপুর, আছিপুর, নিশ্চিন্তপুরের হাজারখানেকেরও বেশি যাত্রীর একমাত্র ভরসা এই অটোস্ট্যান্ড। কিন্তু অটোর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলেই অভিযোগ। বিকেলের পর থেকে শুরু হয় অটোর আকাল। স্টেশন থেকে দৌড়ে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় যাত্রীদের। অটো পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে যাত্রীদের বেশি ভোগান্তি হয় বলে অভিযোগ। এক যাত্রী বলেন, ‘‘অটো ইউনিয়নকে বহু বার ছাউনির কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। স্থায়ী না হলেও অস্থায়ী ভাবেও তো কিছু ব্যবস্থা করা যায়।’’

এক অটো চালক জানাচ্ছেন, পূর্ব রেলের জায়গায় ওই স্ট্যান্ড রয়েছে। ফলে তাদের অনুমতি না পেলে কিছুই করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে রেলকেই পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু রেলের কাছে আদৌ কোনও আবেদন করা হয়েছে কি?

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা অটোরিকশা অপারেটার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক দীপক দাস জানান, কয়েক বছর আগেই রেলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়। তাঁর দাবি, সে সময় রেলের তরফে জানানো হয়েছিল এখন যে স্ট্যান্ডটি রয়েছে তার পাশেই একটি জায়গা অটো ইউনিয়নকে দেওয়া হবে। স্টেশনে ট্রেন আসার পরে স্ট্যান্ডে যাত্রীদের লম্বা লাইন হয়ে যায়। তখন রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। সে কারণেই ওই বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই ছাউনি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে রেল কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ দীপকবাবুর।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘আমার কাছে ইউনিয়ন বা যাত্রীদের থেকে কোনও আবেদন আসেনি। এলে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন