Covid 19

করোনায় মৃত্যু, দাহের পরে বিক্ষোভ শ্মশানে

শনিবার সকালে বসিরহাটের ঘটনা। পুরসভা পরিচালিত শ্মশানের আশপাশের বাসিন্দারা শ্মশানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  আনতে পুলিশ আসে।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৪:১৯
Share:

স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে বাইরে েথকেই। নিজস্ব চিত্র

করোনায় মৃত্যুর পড়ে দু’জনের দেহ সৎকার হয়েছিল। তারপরে শ্মশান দূষণমুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

শনিবার সকালে বসিরহাটের ঘটনা। পুরসভা পরিচালিত শ্মশানের আশপাশের বাসিন্দারা শ্মশানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আসে। এই পরিস্থিতিতে ওই শ্মশানে অন্যান্য দেহ সৎকার বন্ধ হয়ে যায়।

বসিরহাটের পুরপ্রধান তপন সরকার জানান, শুক্রবার রাতে ২১ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দু’জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। দেহ দু’টি বসিরহাট শ্মশানে সৎকার করা হয়। বাসিন্দাদের দাবি মতো এলাকা জীবাণুমুক্ত করার জন্য দমকলকর্মীদের খবর দিলে তারা জানায় মেশিন খারাপ। জীবাণুনাশ করার কাজে দেরি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান বলে জানান পুরপ্রধান। তপনের কথায়, ‘‘সরকারি নির্দেশ মেনে বসিরহাট শ্মশানে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকার করা হচ্ছে। বিষয়টি এলাকাবাসীদের বোঝানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে।’’ এ দিন বেলার দিকে পুরসভার তরফে এক কর্মী গিয়ে জীবাণুনাশক ছড়ান। তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে পুলিশ প্রহরায় এক মহিলা-সহ দু’টি দেহ বসিরহাট শ্মশানে আনা হয়। কোভিডে মৃত্যু হলে যে ভাবে দেহ আনা হয়, তা দেখে বোঝা গিয়েছিল, মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে। সে সময়ে শ্মশানের দায়িত্বে ছিলেন পুরকর্মী অমিত গঙ্গাপুত্র। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের গাড়িতে করে আনা দেহ দেখে বুঝতে পারি করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলেই বিশেষ ভাবে আনা হয়েছে। বিষয়টি পুরপ্রধানকে জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ডাকি। দেহের সঙ্গে পরিবারের কেউ না থাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষে দাহ খরচের টাকা দিয়ে রসিদ নেওয়ার পরে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করা হয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।’’

শনিবার সকালে অন্য রোগে মৃত দু’জনের দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যেরা বসিরহাট শ্মশানে আসেন। সে সময়ে গেটে তালা ঝোলানো ছিল। বিক্ষোভ চলছিল। মৃতের পরিবারেরা সব দেখে শুনে দেহ নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন।

বসিরহাট শ্মশানের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী নদী। তার ধার ঘেঁষে ঘন জনবসতি, দোকানপাট। সুশান্ত চন্দ্র, রণজিৎ দাস বলেন, ‘‘সকালে এসে দেখি, শ্মশানের মধ্যে তখনও পিপিই কিট পড়ে রয়েছে। তা দেখে নিশ্চিত হই, করোনায় মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে।’’ তাঁদের কথায়, ‘‘করোনায় মৃত্যুর পরে দেহ শ্মশানে পোড়ানো হোক, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের দাবি, দেহ সৎকারের পরে শ্মশান এলাকা যেন জীবাণুমুক্ত করা হয়।’’

এলাকার মানুষকে সচেতন করতে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও দেহ পিপিই কিটে ঢাকা থাকলে তার উপরে স্যানিটাইজ় করা হয়। ফলে পিপিই কিটে ঢাকা দেহ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন