Diamond Harbour

বেহাল সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খালের উপরে এক সময়ে বাঁশের সাঁকো ছিল। বছর পাঁচেক আগে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সেচ দফতর কাঠের সাঁকো তৈরি করে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০ ০০:২৬
Share:

নড়বড়ে: এই সাঁকো নিয়েই দুশ্চিন্তা। ছবি: দিলীপ নস্কর

সাঁকোর উপরের পাটাতন উঠে গিয়েছে। ভাঙাচোরা তক্তা তালিতাপ্পা দেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের পারুলিয়া পঞ্চায়েতে হরিদেবপুর ও মল্লিকপাড়ার মাঝে কামারপোল খালের উপরে সাঁকোর এখন এই হাল। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার চলছে।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খালের উপরে এক সময়ে বাঁশের সাঁকো ছিল। বছর পাঁচেক আগে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সেচ দফতর কাঠের সাঁকো তৈরি করে দেয়। তাতে বাসিন্দারা খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু ৫০ ফুট চওড়া খালের উপরে সাঁকো তৈরি হওয়ার পর থেকে আর সংস্কার হয়নি। ফলে বছর দু’য়েক ধরে উপরের কাঠের পাটাতন ভেঙে বিপদ বাড়িয়েছে। ঝুলে গিয়েছে দু’দিকের রেলিং। পারাপারের সময়ে পাটাতনের ফাঁকে পা ঢুকে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ দিয়ে জোড়াতালি দিয়েছেন। কিন্তু সেই কাঠও ফের উঠে গিয়েছে। ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। সাঁকোতে আলোর ব্যবস্থাও নেই। ফলের সন্ধে হলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে পারাপার আরও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মহিলা বা শিশুরা ভয়ে ভয়ে থাকেন।

এই সাঁকো দিয়ে পারাপার করেন পারুলিয়া ও কামারপোল পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া, জানাপাড়া, বসন্তপুর, মাঝেরহাট, কালীচরণপুর, মল্লিকপাড়া-সহ ১০-১৫টি গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়াও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। ডায়মন্ড হারবারে কলেজ, অফিসে আসতে হলে ওই সাঁকো পেরোতে হয়। সাঁকোর একদিকে রয়েছে রেশন দোকান। তার অধীনে সাড়ে পাঁচ হাজার গ্রাহক। তাদেরও মালপত্র নিয়ে পারাপার হতে হয় ভাঙাচোরা সাঁকো দিয়ে। রেশনের মালপত্র ভ্যানে করে পারাপারের সময়ে সাঁকো টলমল করতে থাকে বলে জানালেন অনেকে।

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা খোকন মল্লিক, ময়না গায়েনদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সেতুটির ভগ্নদশা। পঞ্চায়েত, প্রশাসনকে জানিয়েও ব্যবস্থা
নেওয়া হয়নি।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন