নাবালিকা বিয়ে বন্ধে পুলিশের প্রচার কাজে এল।
কয়েক মাস আগে হাবরা থানার পক্ষ থেকে আক্রমপুর হাইস্কুলে গিয়ে আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে এসেছিলেন। বলে গিয়েছিলেন, এলাকায় মদ-চোলাই বিক্রি হতে দেখলে, স্কুলে যাতায়াতের পথে কোনও অসুবিধায় পড়লে বা নাবালিকা বিয়ের খবর পেলে যেন ওই নম্বরে সরাসরি জানানো হয়।
নবম শ্রেণির এক ছাত্র জানতে পারে, তারই এক সহপাঠিনীর বিয়ের ঠিক হয়েছে। অথচ, বয়স তাদের মাত্রই পনেরো। আঠারো বছর বয়সের আগে মেয়েদেরদ বিয়ে আইনত সিদ্ধ নয়, পুলিশের তরফে প্রচারের সময়ে জানতে পেরেছিল ছেলেটি। সে সরাসরি ফোন করে আইসিকে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ ওই ফোন পেয়ে পুলিশ মেয়েটির ঠিকানাও জেনে নেয়। এরপরে স্থানীয় মহিষা মছলন্দপুর এলাকায় ওই কিশোরীর বাড়িতে হাজির হন পুলিশকর্মীরা।
বিয়ের প্রস্তুতি তখন প্রায় শেষ। নিমন্ত্রিতেরা আসতে শুরু করেছেন। খাওয়া-দাওয়াও শুরু হয়েছে। কনের সাজে মেয়েটি। তার বাবা দিনমজুরি করেন। তিনি জানিয়েছেন, অভাবের সংসারে ‘ভাল পাত্র’ পাওয়ায় বিয়ে দিচ্ছিলেন মেয়ের। তবে মেয়ের বয়স আঠারো না হলে বিয়ে দেবেন না কথা দিয়েছেন তিনি।
মৈনাকবাবু বলেন, ‘‘একটা সময়ে ওই এলাকায় চোলাইয়ের উপদ্রব বেড়েছিল। সেই সূত্রেই স্কুলে গিয়ে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলাম। নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করাও একটা উদ্দেশ্যে ছিল।’’ মৈনাকবাবু জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওই স্কুল থেকে ফোন পেয়ে তিন নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা গিয়েছে।