মশা মারতে চুন, তেল ছড়াল পুলিশ

দিন দু’য়েক আগে হাবরার পৃথিবা পঞ্চায়েত এলাকার মারাকপুর, তেতুঁলতলা, মালপাড়া, বহেরাগাছিতে পুলিশ এ ভাবেই চুন, ব্লিচিং ছড়িয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোপালনগর শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭ ০১:০৫
Share:

পরনে খাকি পোশাক। হাতে সার্জিক্যাল গ্লাভস। রাস্তার দু’পাশ দিয়ে চুন ও ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালনগরের পাল্লার অলিগলিতে এ ভাবেই মশা মারতে দেখা গেল বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়, গোপালনগর থানার ওসি অয়ন চক্রবর্তী ও সিআই গাইঘাটা পার্থ সান্যালকে। তাঁরাও এখন মশা মারার কাজে নেমে পড়েছেন। এলাকায় জঙ্গল পরিষ্কারও হয়েছে।

দিন দু’য়েক আগে হাবরার পৃথিবা পঞ্চায়েত এলাকার মারাকপুর, তেতুঁলতলা, মালপাড়া, বহেরাগাছিতে পুলিশ এ ভাবেই চুন, ব্লিচিং ছড়িয়েছিল। ওই দিন জ্বর আক্রান্তদের মধ্যে ওআরএস বিলি করা হয়। হাবরায় জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে ১৯ জন জ্বরে মারা গিয়েছেন। পুলিশের এই উদ্যোগ দেখে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা থানার আইসিকে ফেসবুকে তাঁদের এলাকা পরিষ্কার করার কথাও অনুরোধ করেন। পুলিশ সেই মতো তা-ও পরিষ্কার করে দেয়।

Advertisement

এ দিন গোপালনগরে পুলিশকে মশা মারতে দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। কৃষ্ণপদ বিশ্বাস নামে এক গ্রামবাসী অনিলবাবুর কাছে এসে বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে তিনজনের জ্বর হয়েছিল। আজই তাঁরা হাসপাতাল থেকে ফিরল।’’ শুনে অনিলবাবু পুলিশ কর্মীদের নির্দেশ দেন কৃষ্ণবাবুর বাড়িতে গিয়ে ভাল করে চুন ও তেল ছড়ানোর জন্য।

ওই এলাকায় পাল্লা-সেনাকপুর সড়কের পাশে বাড়ি রিতা কীর্তনিয়ার। দিন কয়েক আগে জ্বরে ভুগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, রিতাদেবীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। সেই বাড়ির আশেপাশেও পুলিশ মশা মারার তেল ছড়ান। রিতাদেবীর প্রতিবেশী অঞ্জনা বিশ্বাস জানান, রীতাদেবীর মৃত্যুর পরে এলাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মশা মারার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তার আগে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাসিন্দারা জানান, পঞ্চায়েত থেকে পদক্ষেপ করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না।

বনগাঁর পাল্লা পঞ্চায়েতে জ্বর, ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চায়েতের রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকেও এলাকায় মশা মারা হচ্ছে। সেই কাজে এগিয়ে এল পুলিশও। পুলিশের এ দিনের কাজে বাসিন্দারা প্রশংসা করছেন।

অনিলবাবু বলেন, ‘‘মৃত্যু আটকানো আমাদের সকলের দায়িত্ব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন