বাবা-মায়ের অবহেলায় মৃত্যু মেয়ের, অনুমান 

বছর ছ’য়েক আগে বাগদার সিন্দ্রাণীর বাবুপাড়ার বাসিন্দা মণিকুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ থেকে রানিকে বিয়ে করে আনেন। মণিকুমারের এটি ছিল তৃতীয় বিয়ে। গত পাঁচ বছরে ওই দম্পতির পর পর চারটি কন্যাসন্তান হয়। তিন জনই জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০০
Share:

ধৃত: বাগদার দম্পতি।— ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগে ধৃত দম্পতিকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠালেন বনগাঁ আদালতের বিচারক।

Advertisement

বছর ছ’য়েক আগে বাগদার সিন্দ্রাণীর বাবুপাড়ার বাসিন্দা মণিকুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ থেকে রানিকে বিয়ে করে আনেন। মণিকুমারের এটি ছিল তৃতীয় বিয়ে। গত পাঁচ বছরে ওই দম্পতির পর পর চারটি কন্যাসন্তান হয়। তিন জনই জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়। মণি ও রানির কথাবার্তা শুনে ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়েছিল, ওই দম্পতিই কন্যাসন্তানদের মেরে ফেলছে। চতুর্থবার রানি সন্তানসম্ভবা হলে নজরে রেখেছিলেন প্রতিবেশী ও সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েতের আশাকর্মীরা। ১০ জানুয়ারি একটি সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রানি। জন্মের বারো দিনের মাথায় তারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় পড়শিদের সন্দেহ গাঢ় হয়। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। তাদের চারেকের একমাত্র জীবিত কন্যা মরমী বিশ্বাস পড়শিদের বাড়িতে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মৃত শিশুর দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন না পাওয়া গেলেও ওই দম্পতির অযত্ন ও অবহেলার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন। পড়শি গীতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘মণির ব্যবহার খুবই খারাপ। মেয়েকে খেতে দিত না, এই শীতের মধ্যে ঠান্ডা মেঝেয় শুইয়ে রাখত। ওর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।’’ থানায় অভিযোগ করেছেন চুমকি হালদার। তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চাটার মৃত্যুর খবরে সকলেরই মন খারাপ। মঙ্গলবার পাড়ায় রান্না-খাওয়া হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন