ধৃত: নিজস্ব চিত্র
জামাকাপড় তুলতে দেরি হওয়ায় গরম খুন্তি দিয়ে শাশুড়ির মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই মহিলার বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের সুভাষপল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, সুভদ্রা হালদার নামে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রূপা হালদার ও মমনি হালদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বাষট্টির ওই বৃদ্ধা প্রতিবন্ধী। তাঁর স্বামী দেড় বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই সুভদ্রাদেবীর বৌমারা তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চলাতেন। এমনকী তাঁকে খেতে পর্যন্ত দিতেন না বলে অভিযোগ। সুভদ্রাদেবীর দুই ছেলে সুকান্ত ও সুশান্ত কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। ছোট ছেলে যদিও এর প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু বড় ছেলে বৌদের কিছু বলতেন না বলে জানিয়েছেন সুভদ্রাদেবী। সুভদ্রাদেবী বলেন, ‘‘সম্পত্তির জন্য ওরা আমাকে মারধর করত। এই দোতলা বাড়িটি ওদের নামে লিখে দিইনি দেখে অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন জামাকাপড় তুলতে দেরি হয়েছিল। ফলে বৃষ্টিতে জামাকাপড় ভিজে যায়। সে কারণে রূপা তাঁকে মারধর করে গরম খুন্তি দিয়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করে রূপা বলে, ‘‘আমি খুন্তি দিয়ে মেরেছি ঠিকই। কিন্তু মুখ পুড়িয়ে দিইনি।’’
ঘটনার কথা অজানা নয় প্রতিবেশীদেরও। বেশ কয়েকবার স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা রূপা ও মামনিকে ডেকে বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বড় ছেলের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।