Mystery Death at Maheshtala

বধূকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝোলানোর অভিযোগ মহেশপুরে, পলাতক স্বামী-শ্বশুরের খোঁজে পুলিশ

মৃতার নাম তমান্না ইয়াসমিন। ১৯ বছরের তমান্নার বাপের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানা এলাকায়। মাস তিনেক আগে মহেশতলা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ সঞ্জুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বধূকে খুন করে তাঁর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা এলাকায়। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম তমান্না ইয়াসমিন। ১৯ বছরের তমান্নার বাপের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানা এলাকায়। মাস তিনেক আগে প্রেমের টানে মহেশতলা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ সঞ্জুর কাছে চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর মুসলিম শরিয়ত মেনে তাঁদের বিয়ে হয়।

মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে গেলেও পরে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তমান্না এবং সঞ্জুর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরেই তাদের মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ তমান্নার শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে ফোন যায় বধূর বাপের বাড়িতে। বলা হয়, তাদের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা যেন যোগাযোগ করে।

Advertisement

ফোন পেয়ে বাপের বাড়ির লোকজন হাজির হন তমান্নার শ্বশুরবাড়িতে। জানতে পারেন, মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরাই মহেশতলা পুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএমে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তমান্নাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার বাড়ির অভিযোগ, তাদের বাড়ির সদস্যেরা যখন তমান্নার ঘরে ঢোকেন, তখন জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে ছিল। তমান্না সদ্য একটি মোবাইল কিনেছিলেন। সেটা ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল। আর মেয়ের পরনের পোশাকে রক্ত লেগেছিল।

মৃতার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তদন্তকারীরা তমান্নার ভাঙাচোরা ফোনটি উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে বাড়িটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তদের ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement