—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক দম্পতিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসাবে চাওয়া হয়েছিল এক কোটি টাকা ও সোনার গয়না। অভিযোগ, পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে ব্যাগে কাগজের টুকরো ও কয়েকটি গয়না নিয়ে কুলতলি পৌঁছে যায় পুলিশ। তবে বিপদ বুঝে অপহরণকারীরা চম্পট দিলেও নৌকার ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দম্পতিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রহড়ার বাসিন্দা ওই দম্পতিকে কে বা কারা অপহরণ করল, তা খতিয়ে দেখছে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ। পাশাপশি, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই দম্পতির কাছে কোটি টাকা ও গয়না চাওয়ার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, রহড়ার বন্দিপুরের লাল ইটখোলা এলাকায় ভাড়া থাকেন মহম্মদ রাজু এবং গুড়িয়া বিবি। তাঁদের তিন মেয়ে। পুলিশ সূত্রের খবর, চুরি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিক বার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে গুড়িয়া। আগেও তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রবিবার রাতে ওই দম্পতির বাড়িতে আসে এক দল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তারা তাদের সঙ্গে থানায় যেতে বলে ওই দম্পতিকে। এর পরে রাজু ও গুড়িয়ার হাত-পা বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সে রাতেই দম্পতির মেয়েকে ফোন করে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। সোমবার রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, কুলতলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজু ও গুড়িয়াকে। এর পরে অপহরণকারীদের বলে দেওয়া জায়গায় দম্পতির মেয়েদের নিয়ে পৌঁছে যায় রহড়া থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে চম্পট দেয় অপহরণকারীরা। তবে সেখান থেকে কিছুটা দূরে নদীতে থাকা নৌকার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতিকে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে