—ফাইল চিত্র।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অব্যহত। জেলা জুড়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ উঠলেও একমাত্র ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী লড়াইয়ের উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও এখানকার গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।
মঙ্গলবার ভাঙ়়ড় ২ ব্লক অফিসের কাছেই তৃণমূল কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই দিন লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। বুধবার ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিমল নস্কর ব্লক অফিসের কাছে আসতেই এক দল তৃণমূল কর্মী তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে প়ড়ে। বিমলবাবুকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। বৃদ্ধ বিমলবাবু হাতজোড় করলেও দলীয় কর্মীদের মারের হাত থেকে ছাড় পাননি। কোনও রকমে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। ওখানে গিয়েও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বিমলবাবুকে উদ্ধার করে।
অভিযোগ, ব্লক অফিসের দরজার কাছেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের বাহিনী ক্যাম্প অফিস করে বসে থাকে। বিরোধী দল ও বিরোধী গোষ্ঠীর কোনও কর্মীকেই ব্লক অফিসের আশেপাশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ দিন বিমলবাবু ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই ঘটনায় তাঁর কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন আরাবুল। তবে ওই অফিসের সামনে যাঁরা ক্যাম্পে বসে রয়েছেন, তাঁরা এলাকার খুবই পরিচিত মুখ, আরাবুলের সঙ্গেই তাঁদের ঘুরতে দেখা যায় বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
অভিযোগ, এ দিন বিষ্ণুপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করেছে শাসকদলের কর্মীরা। এ দিনই বেলা ১২টা নাগাদ বিষ্ণুপুর ২ বিডিও অফিসের কাছে বিজেপি কর্মীরা আসতেই শাসকদলের কর্মীরা লাঠি ও রড নিয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌতম ধাড়া-সহ চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপির পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ দাস (ববি) বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশের সামনেই তৃণমূল সমর্থকরা মারধর করছে।’’