ট্রেনযাত্রায় ভোগান্তি দক্ষিণের যাত্রীদের, ক্ষোভ
Local Trains

কোথাও কামরায় ফ্যান ঘোরে না, কোথাও বন্ধ হয় না জানলা

যাত্রীদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই শাখাগুলিতে বহু ট্রেনের কামরার পরিকাঠামো বেশ খারাপ। কোথাও জানলার পাল্লা ভাঙা। বৃষ্টি হলেই জানলার ধারে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে হয়।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩১
Share:

জানলায় নেই পাল্লা। —নিজস্ব চিত্র।

লোকাল ট্রেনের এ কী অবস্থা! কোথাও পাখা ভাল ভাবে ঘোরে না, কোথাও জানলা ভাঙা। কোথাও ভাঙা যাত্রীদের বসার আসন। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় এমনই ছবি সর্বত্র। এই অবস্থাতেই শিয়ালদহ থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার বা নামখানায় রোজ যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, এই পরিস্থিতি কবে বদলাবে?

Advertisement

রেল সূত্রে বলা হচ্ছে, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ডায়মন্ড হারবার থেকে শিয়ালদহে দিনে ২৬ জোড়া ট্রেন চলে। শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় চলে প্রায় ২৮ জোড়া ট্রেন। ডায়মন্ড হারবার থেকে শিয়ালদহ প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পথ। সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। নামখানা থেকে শিয়ালদহ প্রায় ১০০ কিলোমিটার রেলপথ। সময় লাগে পৌনে ৪ ঘণ্টা। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি দিন যাতায়াত করেন এই সব শাখায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর ১ ও ২ ব্লক, জয়নগর ১ ও ২ ব্লক, কুলতলি, মন্দিরবাজার, মগরাহাট-সহ বেশ এলাকায় কলকাতার সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ নেই। ফলে ট্রেনই ভরসা।

কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই শাখাগুলিতে বহু ট্রেনের কামরার পরিকাঠামো বেশ খারাপ। কোথাও জানলার পাল্লা ভাঙা। বৃষ্টি হলেই জানলার ধারে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে হয়। বহু কামরায় পাখা চললেও কোনও হাওয়া মেলে না। প্রচণ্ড ভিড়ে কষ্ট পান যাত্রীরা। কিছু পাখা একেবারে বন্ধ। অনেক দরজা বন্ধ করা যায় না। বৃষ্টির ছাঁট ঢোকে। মহিলাদের অনেকেরই অভিযোগ, মহিলা কামরা আলাদা হলেও লেখা ও ছবি আবছা হয়ে যাওয়ায় বোঝা যায় না। ভুল করে অনেক পুরুষ যাত্রীই সেখানে উঠে পড়েন। কখনও জরিমানাও দিতে হয়। এর পাশাপাশি যাত্রীদের বসার আসন আর মাথার উপরের মালপত্র রাখার জায়গার অবস্থাও বহু ক্ষেত্রে খুব খারাপ। কামরায় পড়ে থাকে আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধ নিত্যকার সমস্যা, অভিযোগ অনেক যাত্রীরই। এমনিতেই ট্রেনের সংখ্যা কম।

Advertisement

নিত্যযাত্রী মিহিরলাল দাস, কমল সাহাদের অভিযোগ, ‘‘আমাদের নিয়মিত শিয়ালদহ স্টেশনে যেতে হয়। ট্রেনের মধ্যে আবর্জনা স্তূপ পড়ে থাকে। তা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। যাত্রী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। ট্রেনের পরিকাঠামো আরও উন্নতি করা উচিত।
রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি প্রান্তিক স্টেশনে ট্রেন সাফাই করার জন্য কর্মী আছে। কোনও ট্রেনের সমস্যা থাকলে তা স্টেশন মাস্টারের কাছে জানাতে পারেন যাত্রীরা। রেলে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সময় মতো কারসেডে পাঠিয়ে ট্রেন মেরামতও করা হয়।

শিয়ালদহ ডিভিশনের দক্ষিণ শাখার জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ট্রেনে পাখা খারাপ থাকার খবর শোনা যায়। অন্যান্য পরিকাঠামো সমস্যা থাকলে যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। তা ছাড়া, ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারশেডে পাঠানো হয়। সমস্যার বিষয়ে সরাসরি ১৩৯ নম্বরে ফোন করেও জানানো যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন