Death

‘গাফিলতি’র ফলে মৃত্যু তরুণের, বিক্ষোভ

সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সচেতনতার প্রচার চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ ক্ষেত্রেও পরিজনেরা ভুল করেননি। তবে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনারপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ০৫:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কিছু কামড়েছিল ছেলের পায়ে। সাপ ভেবে দেরি করেননি সোনারপুরের সুভাষগ্রামের চণ্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা সুজয় নস্কর ও বেবি নস্কর। দ্রুত তাঁরা সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান ছেলে শুভকে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসকেরা কোনও রকমে দু’টি ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়ে দেন রোগীকে। কিছু ক্ষণ পরে মৃত্যু হয় বছর উনিশের ওই তরুণের। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাতেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান শুভর পরিজনেরা। অভিযোগ, লুকিয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সচেতনতার প্রচার চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ ক্ষেত্রেও পরিজনেরা ভুল করেননি। তবে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই। কী হয়েছিল সে দিন? মৃতের মা বেবি নস্কর জানান, সন্ধ্যায় কিছু একটা কামড়ায় ছেলের পায়ে। সাপ হতে পারে ভেবে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় শুভকে।

পরিজনেরা জানান, হাসপাতালে একাধিক চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন। শুভকে দু’টি ইঞ্জেকশন দিয়ে রক্ত নেওয়া হয়। আধ ঘণ্টা পরে সেই রক্ত দেখিয়ে জানানো হয়, রক্ত গাঢ়। যার অর্থ, রোগীকে সাপে কামড়ায়নি। তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেই মতো শুভকে নিয়ে বাড়ির পথ ধরেন পরিজনেরা। কিন্তু মাঝপথেই বমি শুরু হয় ওই তরুণের। আবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা চেষ্টা শুরু করলেও বাঁচানো যায়নি। বেবি বলেন, “ভুল চিকিৎসায় ছেলেটা মারা গেল। ওঁদের শাস্তি চাই।”

Advertisement

রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি-সহ অন্য আধিকারিকেরা হাসপাতালে যান। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন