তালা: বন্ধ পরিষেবা। মথুরাপুর ২ ব্লকে। ছবি: দিলীপ নস্কর।
রায়দিঘি মথুরাপুর ২ ব্লকের নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা দু’টি পাম্পিং স্টেশনের উপরে নির্ভরশীল আশেপাশের প্রায় ১০টি গ্রাম। কিন্তু পঞ্চায়েতের গাফিলতিতে মাসখানেক ধরে তালা ঝুলছে পাম্পিং স্টেশনে। এই পরিস্থিতিতে জলের সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ২৪ মে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হাত থেকে দমকল ও নগেন্দ্রপুর গ্রামের পাম্পিং স্টেশন দু’টির দায়িত্ব নেয় নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত। নিয়ম অনুযায়ী, এর পরে থেকে পাম্পিং মেশিন চালানোর তেল এবং কর্মীদের মজুরি বহন করার কথা পঞ্চায়েতের। কিন্তু তারা উদ্যোগী না হওয়ায় কর্মীরা নিজেদের খরচেই তেল কিনে সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছিলেন।
তবে ৩০ জুনের পরে আর তা আর সম্ভব হয়নি। তেলের দাম বাবদ প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা তাঁদের প্রাপ্য বলে জানালেন। তা ছাড়া, মে মাস থেকে বেতনও পাচ্ছেন না ওই কর্মীরা।
জল সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা রাধারানি ঘোড়ুই, সুমিতা মাঝিরা জানাচ্ছেন, পাইপ লাইনের জল বন্ধ থাকায় পুকুরের ঘোলা জলেই চলছে রান্না বা কাপড় কাচা। বাড়ছে ছোটদের পেটের রোগ। নদীনালা ঘেরা এই এলাকায় জলস্তর নেমে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত নলকূপ অকেজো হয়ে যায়। ফলে পাইপ লাইনের জলই ভরসা। কর্মীদের বক্তব্য, সঙ্কটের কারণ পঞ্চায়েতের গাফিলতি। অভিযোগ, এ বিষয়ে সভাও ডাকছে না। গোটা বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।
একই অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক শতদল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে আলোচনার ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না প্রধান। এর ফলে জল সরবারহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।” মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল গায়েনের কথায়, “পাম্প দু’টি চালু করতে একাধিক বার বলা হয়েছে প্রধানকে।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পাম্প চালু করার ব্যাপারে প্রধান ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি জানানো হয়েছে মহকুমাশাসককে। প্রধান রাজকৃষ্ণ বৈরাগীকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।