West Bengal Panchayat Election 2023

ভোটে পুরপ্রধান কেন পঞ্চায়েত এলাকায়, প্রশ্ন

বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, "আমাদের এক প্রার্থীর স্বামী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

অশোকনগর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪১
Share:

ভাঙচুর করা হয়েছে পুরপ্রধানের গাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের দিন অশোকনগর-কল্যাণগড়ের তৃণমূলের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার কেন গাড়িতে লোকজন নিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরলেন, সে প্রশ্নটা এখনও ঘুরছে এলাকায়। বিরোধীর দাবি, বেআইনি কাজ করেছেন পুরপ্রধান। কারণ, তিনি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন। ভোট লুট করতেই পুরপ্রধান পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসন অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে।

Advertisement

শনিবার দুপুরে অশোকনগরে বোলগাছি এলাকায় ৯৩ নম্বর বুথের কাছে আক্রান্ত হন প্রবোধ। তাঁর গাড়িতে থাকা দেহরক্ষী-সহ আরও ৬ জনের উপরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। রবিবার পুরপ্রধান বলেন, "এখনও গায়ে ব্যথা। আমাদের উপরে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, আইএসএফের লোকজন বাঁশ, লাঠিসোঁটা, ইট নিয়ে হামলা করেছিল।" হামলার ঘটনায় পুলিশ রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, "আমাদের এক প্রার্থীর স্বামী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের সঙ্গে হামলার ঘটনার কোনও যোগই নেই।" তাপসের বক্তব্য, "ভোটের দিন পুরপ্রধান পঞ্চায়েত এলাকায় কী করছিলেন? আমাদের দাবি, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জন্য পুরপ্রধানকে গ্রেফতার করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।’’

Advertisement

কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, পুরপ্রধানের উপরে হামলার ঘটনায় তাদের চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার যুব কংগ্রেস নেতা সুখেন সরকার বলেন, "পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আমরা জানতে চাই, মিথ্যা মামলা আমাদের কর্মীদের কেন গ্রেফতার করা হল? পুরপ্রধান নিজে জানিয়েছিলেন, বিজেপি ও আইএসএফ হামলার ঘটনায় যুক্ত। তা হলে আমাদের কর্মীদের কেন গ্রেফতার করা হল? পুলিশ ও তৃণমূল মিলে কর্মীদের ফাঁসিয়ে দিল।" তাঁরও প্রশ্ন, "ভোটের দিন পুরপ্রধান কেন পঞ্চায়েত এলাকায় যাবেন?"

আইএসএফ এর রাজ্যের সহ সভাপতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুরপ্রধান কাউন্সিলরদের নিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় সন্ত্রাস ছাপ্পা ভোটে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরপ্রধানের পাশাপাশি পুর এলাকার বাসিন্দা, যুব তৃণমূল নেতা প্রদীপ সিংহের নেতৃত্বে শ’খানেক বাইক নিয়ে বাহিনী ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। সেখানে প্রতিরোধ হয়েছে, পালিয়েছে।" তাপসের প্রশ্ন, ‘‘পুরপ্রধান পঞ্চায়েত এলাকায় কেন যাবেন? আমি দলের সহ সভাপতি হওয়া সত্বেও পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকিনি।"

প্রদীপের সাফাই, "আমি দলের পক্ষ থেকে গুমা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষক ছিলাম। কিছু বাইক নিয়ে এলাকায় ঘুরেছি, যাতে নিবিঘ্নে ভোট হয়। আমি কোনও বুথে ঢুকিনি।"

কেন তিনি ভোটের দিন পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছিলেন? পুরপ্রধানের যুক্তি, "আমি দলের রাজ্য কমিটির সদস্য। দলের পক্ষ থেকে আমাকে ভোটে বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল। কোনও বুথে ঢুকিনি। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছি। আমার গাড়িতে কোনও দলীয় পতাকা ছিল না। চেয়ারম্যান লেখা বোর্ডও ছিল না।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন