অবরোধের-পরে: বাহিরপুয়া স্টেশন। ছবি: দিলীপ নস্কর
হল্ট স্টেশনে রেললাইন-সংলগ্ন দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকেরা। ক্ষুব্ধ জনতা ট্রেন অবরোধ করায় শনিবার ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখায়। ৩টি আপ এবং ৪টি ডাউন ট্রেনকে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হয়রান হন যাত্রীরা।
রেল সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ জিআরপি এবং আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মগরা ও দেউলা স্টেশনের মাঝে বাহিরপুয়ায় দখলদার উচ্ছেদ করতে যান রেল আধিকারিকেরা। ক্ষিপ্ত জনতা কিছুক্ষণের মধ্যেই রেল অবরোধ শুরু করে। রেলপুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে আহত হন রেল আধিকারিক সব কয়েক জন।
রেল পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, বাহিরপুয়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই রেলের জমি দখল করে লাইনের ধারে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এ দিন সকালে ডায়মন্ড হারবার থেকে রেলপুলিশ ও আধিকারিকেরা অভিযানে যান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রেলপুলিশ তাঁদের না জানিয়েই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। বাধা দিতে গেলে রেলপুলিশ দোকান ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালানোর সময়ে লাইনে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েও আহত হন অনেকে।
যদিও রেলের দাবি, বিপজ্জনক ভাবে রেল লাইনের ধারে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই ওই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছিল। কিন্ত স্থানীয় ক্ষিপ্ত জনতা বাধা দেয়। রেলের আধিকারিকদের মারধর করে। রেলের তরফে উচ্ছেদ আপাতত মুলতুবি রাখা হলে, বেলা ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ অবরোধ ওঠে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “অবরোধে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গেলে তাঁরা রেলের আধিকারিকদের মারধর করেছেন।’’