ধর্ষণ-খুনে যুবকের নার্কো টেস্ট

নার্কো অ্যানালিসিস টেস্টের প্রয়োজন পড়ে কখন? পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণত বড় ধরনের অপরাধে সন্দেহভাজনকে এই পরীক্ষা করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৭ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল বছরখানেক আগে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল কলা খেতে। অভিযুক্তেরা এখনও পলাতক।

Advertisement

বনগাঁর নকপুল খালিখোলার এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু বেশি দূর এগোয়নি। সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু দিন পরে সঞ্জয় নায়েক নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। জেরা করে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তবে সঞ্জয়কে সামনে রেখেই রহস্যের সমাধান সম্ভব বলে মনে করছে পুলিশ। যে কারণে তার নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট করানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। বনগাঁ আদালতে অনুমোদন মেলে। সোমবার কামারহাটির একটি সরকারি হাসপাতালে সঞ্জয়ের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করানো হয়।

পুলিশের এক কর্তার দাবি, পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য মিলেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আশা করা যায় দ্রুত খুনের কিনারা করা যাবে।’’

Advertisement

নার্কো অ্যানালিসিস টেস্টের প্রয়োজন পড়ে কখন? পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সাধারণত বড় ধরনের অপরাধে সন্দেহভাজনকে এই পরীক্ষা করানো হয়। মুম্বই বিস্ফোরণে ধৃত পাক নাগরিক আজমল কাসবকে নার্কো অ্যানাসিসিস টেস্ট করানো হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সাম্প্রতিক কালে কোনও অভিযুক্তকে এই পরীক্ষা করানো হয়নি বলেই দাবি জেলা পুলিশ কর্তাদের।

আদালতের অনুমতি পেয়ে বনগাঁর আইসি সতীনাথ চট্টরাজ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডাক্তার পৃথ্বীশ ভৌমিক সোমবার সঞ্জয়ের উপরে বিশেষ ওষুধ প্রয়োগ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। যে ঘটনার জেরে সঞ্জয়কে এই পরীক্ষা করানো হল, তা ২০১৬ সালের। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি কলাখেত থেকে নকপুলের ওই মাঝবয়সী মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। মহিলা খেতমজুরের কাজ করতেন। স্বামীর সঙ্গে সর্ম্পক ছিল না। তিন মেয়েকে থাকতেন। মহিলার বোন দিদিকে খুঁজতে বেরিয়ে একটি কলাখেতের মধ্যে দেখেন মাছি ভন ভন করছে। কুকুরের দল জায়গাটি ঘিরে আছে। এরপরে মাটি খুঁড়ে দেহ মেলে। মহিলার বড় মেয়ে পুলিশের কাছে মাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement