এই বাসে উঠতে গিয়েই দুর্ঘটনা। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার।
জাতীয় সড়কে দু’টি বাসের রেষারেষির জেরে মারা গেলেন এক যুবক। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ধুন্ধুমার বাধে কাকদ্বীপের বুধাখালি পঞ্চায়েতের উকিলের বাজারে। ঘাতক বাসটি আটকে রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় জনতা।
এ দিন সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ উকিলের বাজার বাসস্টপে শ্বশুরের সঙ্গে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন শেখ আতিয়ার রহমান (২৬)। নামখানা-তারকেশ্বর রুটের কলকাতাগামী একটি বাস দ্রুতগতিতে সেখানে আসে। ওই বাসটির পিছনে ছিল নামখানা-কলকাতা রুটের আরও একটি বাস। দু’টি বাস যাত্রী তোলার জন্য রেষারেষি শুরু করে। নামখানা-তারকেশ্বর রুটের বাসটি পিছনের বাসটি আড়াল করার জন্য প্রায় আড়াআড়ি ভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে শুরু করে। সেই বাসেই উঠতে চেষ্টা করেন আতিয়ার। কিন্তু পাদানিতে পা রাখতে না রাখতেই বাস ছেড়ে দেয়। ভারসাম্য রাখতে না পেরে রাস্তায় পড়ে যান আতিয়ার। ওই বাসেরই পিছনের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাসের চালক পলাতক। পিছনের বাসটি দ্রুত এলাকা ছাড়ে।
আড়াই বছরের মেয়ে আছে আতিয়ারের। তাঁর শ্বশুর শেখ রফিক জানান, জামাই কলকাতায় দর্জির কাজ করতেন। দিন কয়েক শ্বশুরবাড়িতে কাটিয়ে এ দিন কলকাতায় ফিরবেন বলে বেরিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পরে ঘণ্টাখানেক ওই রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসটিকে আটকে রাখা রয়েছে। এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। সন্ধের পরে বাসটিকে কাকদ্বীপ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে দূরপাল্লার বাসগুলির নিজেদের মধ্যে রেষারেষির জন্য প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নেতা অশোক গায়েন। তাঁর দাবি, ‘‘বাসের চালক এবং কনডাক্টরের গাফিলতিতেই বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া উচিত।’’