টাকা তুলছে পুলিশ, পথ অবরোধ

দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভে মুখে পড়ে। পরে হাড়োয়া পঞ্চায়েতের প্রধানের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৪
Share:

প্রতিবাদ: তখনও কমেনি উত্তেজনা। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্তের পরিজনেরা ছুটে বেড়াচ্ছেন চিকিৎসা কেন্দ্র, হাসপাতাল, ওষুধের দোকানে। সে সময়ে রোগীর পরিজনের মোটরবাইক আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে হাড়োয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।

Advertisement

যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন রোগীর পরিজন, স্থানীয় মানুষজন। বুধবার সকালে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোডের রামনগর কলবাড়ি এলাকায় অবরোধের জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভে মুখে পড়ে। পরে হাড়োয়া পঞ্চায়েতের প্রধানের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেড়াচাঁপা থেকে হাড়োয়া যাওয়ার পথে মোটা আল এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকে হাড়োয়া থানার পুলিশ। মফিজুর রহমান বলেন, ‘‘হাড়োয়া থেকে ফেরার পথে পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে কাগজপত্র দেখতে চায়। ৫০০ টাকা দাবি করে। আত্মীয়ের জ্বর। ওষুধপত্র নিতে এসেছিলাম। ওষুধের প্যাকেটও দেখালাম। পায়ে ধরলাম। কিছু শুনল না। পুলিশ আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে নিল।’’ একই অভিযোগ ওই গ্রামের নাজিবুল হাসানের।

Advertisement

এ খবর গ্রাম ছড়িয়ে পড়তেই কলবাড়িতে শুরু হয় অবরোধ। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে জ্বর। রোগীরা হাড়োয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। বাড়ির লোকদের ছোটাছুটি করতে হচ্ছে বাইক নিয়ে। সেই রাস্তায় পুলিশ তোলাবাজি করছে।’’ হাড়োয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহম্মদ সিরাজ বলেন, ‘‘এ ভাবে রোগীর পরিজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না।’’

তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, হেলমেট না থাকায় বা গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে জরিমানা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন