হাসনাবাদে কোণঠাসা পথ, আতঙ্কে বাসিন্দারা

হাসনাবাদ থেকে বাইলানি হয়ে শীতলিয়া ভাণ্ডারখালির মতো বিভিন্ন প্রত্যন্ত জায়গার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা ধরে। কিন্তু রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় ভয়ে ভয়ে চলতে হয় পথচারীদের। বাইক চালক, সাইকেল আরোহীও আতঙ্কে থাকেন। 

Advertisement

নির্মল বসু

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

দখল: রাস্তার পাশে জায়গা কমছে ক্রমশই। —নিজস্ব চিত্র

কেমন আছো পথ? ক্রমশ কোণঠাসা?

Advertisement

ইট, বালি, পাথর পড়ে রাস্তার দু’পাশে। কাঠের গুঁড়ি, বিচুলির গাদার ভিড়ে রাস্তা সংকীর্ণ হচ্ছে দিন দিন। যে যার মতো ব্যবসা চালাচ্ছে পথের ধারে। যার জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে বসিরহাট মহকুমার নানা প্রান্তে।

হাসনাবাদ-বাঁশতলি রাস্তায় শিরিষতলা, ধরমবেড়িয়া, মান্নার মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল, বড় রাস্তার পাশ দখল করে কোথাও খড়ের গাদা রাখা। কোথাও রাস্তার উপরে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে খড়। কোথাও রাস্তার উপরে গরু-ছাগল বাঁধা। কোথাও আবার ইট-বালি-পাথর ডাঁই করে রাখা। বড় গাছের গুঁড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছে কোথাও কোথাও।

Advertisement

হাসনাবাদ থেকে বাইলানি হয়ে শীতলিয়া ভাণ্ডারখালির মতো বিভিন্ন প্রত্যন্ত জায়গার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা ধরে। কিন্তু রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় ভয়ে ভয়ে চলতে হয় পথচারীদের। বাইক চালক, সাইকেল আরোহীও আতঙ্কে থাকেন।

বাইলানি গ্রামের ফরিদ মণ্ডল, ছাদের আলিরা মোটর বাইক চালান। বললেন, ‘‘অনেক জায়গায় রাস্তার দু’পাশে ইমারতি দ্রব্য রাখা। আরও কত কিছু ফেলে রখা হয় রাস্তার পাশে। উল্টো দিক থেকে গাড়ি এলে পাশে সরার জায়গা থাকে না। পিছন থেকে হঠাৎ কোনও গাড়ি হর্ন বাজালে আঁতকে উঠি। কারণ, পাশে সরে যাব যে, সে জায়গাটুকু নেই।’’

ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে, জানালেন বাসিন্দারা। অথচ পুলিশ-প্রশাসনের ভ্রূক্ষেপ নেই। অটো চালক রতন মণ্ডল, ফজের আলিরা বলেন, ‘‘এই রাস্তার পাশের অংশ দখল করার প্রবণতা দীর্ঘ দিনের। ধান উঠলে রাস্তার উপরে খড় বিছিয়েও রাখা হয়। চাকায় খড় জড়িয়ে বিপত্তি ঘটায়। রাস্তার পাশে বিচুলির গাদা থাকায় উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িকে পাশ দিতে খুবই সমস্যা হয়। যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ ধরমবেড়িয়া গ্রামের কল্পনা মণ্ডল, রত্না দাসদের অভিজ্ঞতা, সারা বছর ধরেই যে যা পায় রাস্তার উপরে ফেলে রাখে। বারণ করলেও শোনে না। কয়েক দিন আগে এক মোটর সাইকেল বাইক আরোহী রাস্তার পাশে রাখা গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা মেরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

বাইলানি শিরিষতলার কাছে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার দু’পাশে প্লাস্টিক বর্জ্য-সহ ভাঙাচোরা জিনিস রাখা। স্থানীয় মানুষ জন জানালেন, এক ব্যবসায়ী এই সমস্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য, ভাঙাচোরা জিনিস কিনে এনে রাস্তার পাশেই জড়ো করে রাখেন। সেখান থেকেই চলে কেনাবেচা। জানা গেল, আসবাব ব্যবসায়ীরা কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাখেন রাস্তার পাশে। বাঁশতলি মান্নার মোড়ের কাছে ইট-বালি-পাথর পড়ে থাকতে দেখা গেল রাস্তার পাশ জুড়ে।

বিশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত জানা বলেন, ‘‘এ বিষয় আমরা বার বার গ্রামবাসীদের সচেতন করেছি। যাঁরা শুনছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে এ বার আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

কিন্তু তার আগে বড় কোনও বিপদ ঘটে না যায়, আতঙ্কে বহু মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন