haroa

Haroa: স্কুলে ভাঙচুর চালিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি

শনিবার প্রধান শিক্ষক, সহশিক্ষক, পরিচালন কমিটি এবং অভিভাবকেরা বৈঠক করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ০৮:০৭
Share:

তাণ্ডব: এই অবস্থা পাখার

কয়েক মাস ধরে একের পর এক ক্লাসঘরে ভাঙচুর করছিল পড়ুয়াদের একাংশ। হাড়োয়া পিজি হাইস্কুলে শিক্ষক-পড়ুয়ারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এই ঘটনায়। তবে কাউকে চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। স্কুলের বেশ কয়েকটি ঘরে গোটা পঞ্চাশ পাখা বেঁকিয়ে দেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরা টেবিল-চেয়ার-বেঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। পানীয় জলের কল, এমনকী লোহার দরজা-জানলা, শৌচালয় পর্যন্ত ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে গত কয়েক মাসে।

Advertisement

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমিক রুদ্র মজুমদার জানান, গত ছ’মাস ধরে চলছিল এই ঘটনা। সম্প্রতি নবম-দ্বাদশ শ্রেণির কিছু পড়ুয়া ভাঙচুরের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। তাতেই ছাত্রদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি।

প্রধান শিক্ষক জানান, ওই ছাত্রদের কাউন্সেলিং জরুরি। কেন তারা এমন করছে, তা কথা বলে বোঝা দরকার।

Advertisement

শনিবার প্রধান শিক্ষক, সহশিক্ষক, পরিচালন কমিটি এবং অভিভাবকেরা বৈঠক করেন। কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবককে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পরিচালন কমিটির সভাপতি শেখ হাফিজ আহমেদ বলেন, ‘‘নিজেরা পড়াশোনা করবে না, অন্যেরা যাতে পড়াশোনা করতে না পারে সে জন্য পরিকল্পনা করে ক্লাসে ক্লাসে ভাঙচুর চালাচ্ছে কিছু ছেলে। সেই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে। কয়েকজন পড়ুয়ার অভিভাবককে সতর্ক করা হয়েছে।’’ দোষী ছাত্রদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। —নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন