গাড়ির ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যু

পুলিশ জানায়,  হেঁটেই স্কুলে যাচ্ছিল মৌমিতা। আক্রামপুর হাইস্কুলের ছাত্রী সে।  রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি মিনি ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে মেয়েটি। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবড়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০০:২০
Share:

শোক: হাসপাতালে মৌমিতার মা। ছবি: সুজিত দুয়ারি

স্কুলে যাওয়ার পথে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার কইপুকুর বাজারের কাছে গৌরবঙ্গ সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মৌমিতা দাস (১০)। বাড়ি আক্রামপুর এলাকায়। পুলিশ মিনি ট্রাকটি আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং বেপরোয়া যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এলাকার মানুষ এ দিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তাতে স্কুল পড়ুয়ারাও সামিল হয়েছিল। পরে হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে যান নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, হেঁটেই স্কুলে যাচ্ছিল মৌমিতা। আক্রামপুর হাইস্কুলের ছাত্রী সে। রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি মিনি ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে মেয়েটি। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।

এ দিন মৌমিতার স্কুলে পঠনপাঠন হয়নি। নীরবতা পালন করে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌভনাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন যাতায়াত করে। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি, যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে।’’

Advertisement

গৌরবঙ্গ সড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলাচল করে। নতুন সংযোজন, কিছু যুবকের বাইক রেস। দিন কয়েক আগে বাইক রেসের বলি হয়েছেন এক বৃদ্ধ। যান চালকদের মধ্যে রেষারেষিতে পথ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।

অটোতে অতিরিক্ত যাত্রীও তোলেন চালক। চালকের দু’পাশে যাত্রী বসানো হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটো চালক বেপরোয়া গতিতে চলতে গিয়ে সামনে কোনও গাড়ি চলে এলে চালকেরা গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না বলে জানালেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, হাবড়া শহরে যানজটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকেন যান চালকেরা। যানজট থেকে বেরিয়ে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ির গতি খুব বাড়িয়ে দেন। রাস্তার পাশে ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।

গাড়ির গতি কমাতে বেশ কয়েকটি স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছিল রাস্তায়। কিন্তু ভারী ট্রাকের চাপে বেশিরভাগই ভেঙে গিয়েছে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা কমাতে গার্ডরেল, স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে যান নিয়ন্ত্রণ করতে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। পথচারীদের সচেতন করতে নিয়মিত প্রচার কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন