নোংরা জলে ভরছে মাঠ

স্কুলের মাঠে হাঁটু সমান জল। টানা কয়েক দিন ধরে সেই জল পেরিয়েই যেতে হচ্ছে ছাত্রীদের। জলে ভিজে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল চত্বরে দিনের পর দিন জমা জলে জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। চলতি বর্ষায় ডায়মন্ড হারবার গালর্স স্কুলের এমনই অবস্থা।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৬ ০১:১০
Share:

সাবধানী পা...। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের মাঠে হাঁটু সমান জল।

Advertisement

টানা কয়েক দিন ধরে সেই জল পেরিয়েই যেতে হচ্ছে ছাত্রীদের। জলে ভিজে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল চত্বরে দিনের পর দিন জমা জলে জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। চলতি বর্ষায় ডায়মন্ড হারবার গালর্স স্কুলের এমনই অবস্থা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার সময়ে খালের জল উপচে ঢুকে পড়ে ওই স্কুলে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বর্ষায় বৃষ্টির জলের সঙ্গে খালের জল মিশে স্কুলের মাঠে ঢুকছে। এর ফলে শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছে তেমনই নোংরা জলে দূষিত হচ্ছে এলাকা।’’ তিনি জানান, স্কুল থেকে কয়েক মিটার দূরের হুগলি নদীর মুখে স্লুইস গেট না থাকায় জোয়ার হলেই নদীর জল ডায়মন্ড হারবার খাল বেয়ে স্কুলে ঢুকছে। প্রশাসনের সব স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুলের মাঠে হাঁটু সমান জল। সেই জল ঠেলেই কঁচিকাচারা মিড ডে মিল খেতে যাচ্ছে। জুতোর মধ্যে জল ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু সেই জুতো পড়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে বাধ্য হচ্ছে তারা। পিচ্ছিল মাঠ দিয়ে যেতে গিয়ে কয়েকজন কাদায় পড়ে গেল। অনুপমা ঘোষ, তিথি দাস-সহ ছাত্রীদের ক্ষোভ, প্রতিদিন পোশাক নোংরা হচ্ছে। চামড়ায় র‌্যাশ বেরোচ্ছে।

ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মীরা হালদার জানান, হুগলি নদীর মুখে স্লুইস গেট না থাকার কারণেই ওই স্কুল চত্বরে জল ঢুকছে। স্লুইস গেট তৈরির জন্য সেচ দফতর উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু জমি সমস্যার জন্য সেটি করা যায়নি। ডায়মন্ড হারবার সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, হুগলি নদীর মুখে ওই স্লুইস গেটটির জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জমি-সংক্রান্ত সমস্যায় কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। তবে সেই সমস্যা মিটেছে। পুজোর পরেই ওই গেট তৈরির কাজ শুরু হবে।

স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯০০ সালে ডায়মন্ড হারবারের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে হুগলি নদী-লাগোয়া নুনগেলা পাড়ায় এই স্কুলটি তৈরি হয়েছিল। প্রায় ১০ একর জমির উপরে গড়ে ওঠা স্কুল বাড়ির পিছন দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার খাল। এই খালটি খানিক দূরে অবস্থিত হুগলি নদীর সঙ্গে যুক্ত। বহু বছর খালটির সংস্কার হয়নি। নিয়মিত এই খালে আবর্জনা ফেলা হয়। ফলে খালের জলধারণ ক্ষমতা কমছে। সেই জন্যই এ বার টানা বৃষ্টি না হলেও স্কুলের বানভাসি দশা তৈরি হয়েছে।

খালে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কেন?

১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী মৈত্রের দাবি, ‘‘মানুষের সচেনতনার অভাবে খালে আবর্জনা ফেলছে। আমি আবর্জনা না ফেলার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেব। তাতেও কাজ না হলে জরিমান‌ার ব্যবস্থা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন