সোমার দুই বেড়ালের নাম ভুতু এবং মেম

১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং পড়ুয়া, প্রথম বর্ষের মৌটুসি মণ্ডল ও দ্বিতীয় বর্ষের সোমা বর্মণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

অভিযুক্ত: সোমা বর্মণ (উপরে) ও মৌটুসি মণ্ডল। ভিডিয়ো-চিত্র

পোষা দু’টি বেড়াল রয়েছে তার। ভালবেসে বেড়াল দু’টির নামও রেখেছে সে। বাড়িতে থাকলে তাদের আদর করে স্নান করানো, খাওয়ানো, সবই করে সোমা। সেই মেয়ে কিনা কুকুরছানা পিটিয়ে মেরেছে—বিশ্বাসই করতে পারছেন না কাকদ্বীপের সোমা বর্মণের প্রতিবেশীরা।

Advertisement

১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং পড়ুয়া, প্রথম বর্ষের মৌটুসি মণ্ডল ও দ্বিতীয় বর্ষের সোমা বর্মণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমার বাড়ি কাকদ্বীপের স্টিমার ঘাটে। কিন্তু সোমা যে এমন কাজ করতে পারে তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার বাড়ির লোক এবং পাড়া-পড়শিরা। প্রতিবেশী অপর্ণা ভুঁইয়া বলেন, ‘‘সোমার বাড়িতে ভুতু ও মেম নামে দু’টি বেড়াল আছে। তাদের যথেষ্ট যত্ন করে সোমা। কী ভাবে ও কুকুরছানাগুলিকে মারল—ভাবতেই পারছি না!’’

সোমার বাবার এলাকায় একটি ঘড়ি সারানোর দোকান। সোমার গ্রেফতার হওয়ার কথা শুনে তিনি চলে গিয়েছেন কলকাতায়। মা কয়েকদিন আগে গিয়েছেন তাঁর দিদির কাছে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই সোমা পাড়ায় মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিত। সে পশুপ্রেমীও। রাস্তার কোনও কুকুর-বেড়াল অসুস্থ হলেও সেবাযত্ন করে পশুচিকিৎসক দেখিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলত সোমা। সোমার কাকা অলোক বর্মণ বলেন, ‘‘যে মেয়ে বাড়িতে সবসময় বেড়াল নিয়ে থাকে,
রাস্তার কুকুর-বেড়ালকেও যত্ন করে, সে ১৬টি কুকুরছানা মেরে ফেলল! আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।’’ একই কথা বলেছেন সোমার প্রতিবেশী নবীন বর্মণ। তাঁর কথায়, ‘‘সোমা এ রকম কাজ করতে পারে ভাবতে পারছি না।’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন