ওঁরা সকলে নতুন প্রজন্মের ভোটার। কেউ কলেজ পড়ুয়া, কেউ পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজছেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বহু আকাঙ্খা ওঁদের। গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান নিয়েও স্বপ্ন দেখেন। এলাকার নানা সমস্যা নিয়েও চিন্তিত অনেকেই। ভোট ঘিরে হিংসার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। নতুন প্রজন্মের ভোট-ভাবনার খোঁজ নিয়ে দেখল আনন্দবাজার। আজ, বনগাঁ ব্লকের চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত। আলোচনার আসর বসেছিল ন’হাটা এলাকায় একটি বাড়িতে।
West Bengal Panchayat Election 2023

পথ-বাতি নেই, এখনও অনেক রাস্তা কাঁচা

ন’হাটা বাজার এলাকায় পাকা নিকাশি নালা নেই। জমা জল বেরোনোর পথ নেই। পঞ্চায়েত এলাকার বেশিরভাগ জায়গাতেই পাকা নালা নেই।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৪৩
Share:

আলোচনা চলছে তরুণ-তরুণীদের। নিজস্ব চিত্র।

আরিফুল মণ্ডল: আবারও একটা ভোটের দোরগোড়ায় এসে পড়েছি আমরা। কিন্তু এলাকায় নিকাশির হাল যে কবে ফিরবে!

Advertisement

দিশানী সরকার: নিকাশির হাল ফিরবে কী করে, নিকাশির মূল মাধ্যম পার্বতী খালই তো সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে।

আরিফুল: খালে এখন আবর্জনা ফেলা হয়। কচুরিপানায় ভরে থাকে। শুনেছি আগে খালে নাকি নৌকো চলত। এখন বর্ষার জমা জল খালের মাধ্যমে বেরোয় না। জমে থাকে। মশার উপদ্রব হয়। পার্বতী খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা দরকার।

Advertisement

রাজদীপ রায়: ন’হাটা বাজার এলাকায় পাকা নিকাশি নালা নেই। জমা জল বেরোনোর পথ নেই। পঞ্চায়েত এলাকার বেশিরভাগ জায়গাতেই পাকা নালা নেই। বর্ষার সময়ে জল-কাদার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

দিশানী: বাড়ির আবর্জনা ফেলারও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। রাস্তার পাশে, মন্দিরের পাশেই ফেলা হয়। দূষণ ছড়ায়। আমরা চাই পঞ্চায়েত থেকে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা করুক।

অর্ঘ্যদীপ মণ্ডল: আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও প্রচুর ইটের এবং কাঁচা রাস্তা আছে। বর্ষায় রাস্তাগুলিতে কাদা হয়। যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা। অনেক রাস্তা ভাঙাচোরা।

পৃথ্বীশ সরকার: রাস্তায় আলো নেই। রাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। সব এলাকায় রাস্তায় আলো বসানো হোক।

রাজদীপ: রাস্তায় আলো না থাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

দিশানী: শনি-মঙ্গলবার ন’হাটা বাজারে হাট বসে। চাষিরা সকাল থেকে খেতের আনাজ নিয়ে আসেন। রাস্তার উপরে বেচা-কেনা চলে। যানজট হয়। যাতায়াত করতে খুবই সমস্যা হয়। হাটের বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হলে মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় না।

আরিফুল: এখানে তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। কোথাও ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক থাকেন না। দিনের বেলায় কয়েক ঘণ্টার জন্য চিকিৎসকের দেখা মেলে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সরকারি ভাবে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায় না। এক হাজার টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে রোগী বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

পৃথ্বীশ: বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পাইপ বসানো হয়েছে। কিছু বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হলেও বেশির ভাগ বাড়িতেই জলের সংযোগ মেলেনি।

রাজদীপ: যে সব বাড়িতে জলের লাইন আছে, সেখানেও নিয়মিত জল আসে না। আমরা চাই দ্রুত সব বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হোক। নিয়মিত জল আসুক।

আরিফুল: পার্বতী খালের উপরে একটি কাঠের সাঁকো আছে। এ ছাড়া, মামুদপুরে আরও একটি কাঠের সাঁকো আছে। দু’টি সাঁকো কংক্রিটের করার দাবি দীর্ঘ দিনের।

অর্ঘ্যদীপ: সেচের জলের জন্য গভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল। সেই নলকূপ দীর্ঘ দিন বন্ধ। ফলে চাষিরা সেচের জল পাচ্ছেন না।

রাজদীপ: একটি শুয়োরের খামার তৈরি হয়েছে লোকালয়ের মধ্যে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

অর্ঘ্যদীপ: প্রতি বছর টেট-এসএসসি আবার চালু করা হোক। স্বচ্ছ নিয়োগ হোক। শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের জন্য এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা জরুরি।

দিশানী: এলাকায় কাজ না থাকায় অনেকে ভিন্ রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

আরিফুল: প্রশাসনের কাছে আবেদন, কোনও রকম সন্ত্রাস ছাড়া যাতে ভোট দিতে পারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন