গ্রিন সিটি প্রকল্পে সাজছে বারুইপুর

বারুইপুর পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডে ১৫টি পার্ক আছে। আপাতত তার মধ্যে থেকেই ছ’টি পার্ক নতুন করে তৈরি হচ্ছে। অনেক দিন আগে তৈরি পার্কগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কোথাও ভেঙে গিয়েছে বিভিন্ন খেলনা, কোনওটি পড়ে থেকে জঙ্গল হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫৮
Share:

সবুজায়ন: সূর্য সেন কলোনির সুবুদ্ধিপুরে তৈরি হচ্ছে এই পার্কটি। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

রাজ্যকে সবুজে ঢাকতে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গ্রিন সিটি মিশন। সেই প্রকল্পের বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই ৬৫০ কোটি টাকা খরচ করতে কাজ শুরু করেছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। জলাশয় সংরক্ষণ, এলইডি আলো, উচ্চ আলোকস্তম্ভ, পার্ক তৈরি ও সবুজায়ন প্রভৃতি কাজের জন্য সরকার এই প্রকল্প থেকে টাকা মঞ্জুর করতে পারে স্থানীয় পুরসভাগুলিকে।

Advertisement

এ বার সেই প্রকল্পের টাকায় বেশ কয়েকটি পার্ক তৈরি এবং সৌন্দর্যায়ন শুরু করেছে বারুইপুর পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ছ’টি পার্কের জন্য প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ৮২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৪ টাকা। তার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৪১ লক্ষ ২২ হাজার ৩০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই টাকার খরচ দেখানোর পরে মিলবে বাকি টাকা।

বারুইপুর পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডে ১৫টি পার্ক আছে। আপাতত তার মধ্যে থেকেই ছ’টি পার্ক নতুন করে তৈরি হচ্ছে। অনেক দিন আগে তৈরি পার্কগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কোথাও ভেঙে গিয়েছে বিভিন্ন খেলনা, কোনওটি পড়ে থেকে জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। রসভা সূত্রের খবর, প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও কয়েকটি পার্ক সাজাতে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, সূর্য সেন কলোনির সুবুদ্ধিপুর, শাসনের অরণ্য পার্ক, বারুইপুর কুলপি রোডের রবীন্দ্র ভবন, পদ্মপুকুরের সোনারতরী, চার নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিশালাক্ষীতলায় তৈরি হচ্ছে পার্কগুলি। প্রায় দু’বিঘা জায়গা জুড়ে থাকা অরণ্য পার্কে তৈরি হচ্ছে একটি জলাশয়। আড়াই ফুট গভীর জলাশয়ে ছোটদের বোটিং-এর ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে ওয়াটার স্পাইডার। জলাশয়ের নীচে বসানো হচ্ছে টাইলস, স্টিলের সিঁড়ি থাকবে। আধুনিক সুইমিং পুলের প্রযুক্তিতেই জলাশয়ের জল স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিশোধন হবে।

বছর কয়েক আগে ঢেলে সাজানো রবীন্দ্র ভবনের একাংশেও সৌন্দর্যায়ন হচ্ছে। এক দিকের ফাঁকা জায়গায় তৈরি হচ্ছে একটি বড় ফোয়ারা। তার চার দিকে বাহারি গাছ দিয়ে বাগান করা হবে। এক পাশের ঢালে ঘাস দিয়ে রবীন্দ্র ভবন লেখা হবে। বসানো হবে বাহারি আলো। অন্য পার্কগুলিতে বাহারি গাছ, বিভিন্ন খেলনা, আলো, বসার জায়গা, কোথাও আবার জগার্স পার্কও তৈরি করা হচ্ছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, অরণ্য পার্কটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। অন্য পার্কগুলির কোনওটির জন্য ১৫ লক্ষ, কোথাও ২৫ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য হয়েছে। বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। এই কাজ শেষ হলে বাকি কাজের জন্য ৫০ শতাংশ টাকা পাওয়া যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন