ঝড়ে ভাঙল গাছ, উড়ল চাল

সোমবার ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এই ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। টালি, অ্যাসবেস্টস এবং খড়ের চাল উড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঝড়ে যন্ত্রচালিত ভ্যান রিকশা এবং ছোট গাড়ি উল্টে গিয়েছে।  ঝড়ের কারণে এলাকা জুড়ে লোডশেডিং চলছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০২:১৩
Share:

ভেঙে পড়েছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন-লাগোয়া কয়েকটি গ্রাম।

Advertisement

সোমবার ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এই ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। টালি, অ্যাসবেস্টস এবং খড়ের চাল উড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঝড়ে যন্ত্রচালিত ভ্যান রিকশা এবং ছোট গাড়ি উল্টে গিয়েছে। ঝড়ের কারণে এলাকা জুড়ে লোডশেডিং চলছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা।

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকে আকাশে মেঘ ছিল। মাঝে মধ্যে দু’এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়। তবে বিকেল হতেই হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি, পাটঘরা, সাহেবখালি, কাঁঠালবেড়িয়া, রমাপুর, চাঁড়ালখালি, দেউলিয়া, কানাইকাঠি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জোর বৃষ্টি শুরু হয়। শিলও পড়ে। এরপরেই শুরু হয় ঝড়। হাওয়ার দাপট এতটাই বেশি ছিল যে, মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে গাছ। উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। আহেরপাড়া মোড়ের কাছে এবং চাড়ালখালিতে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় সাহেবখালি, গোবিন্দকাটি, দুলদুলি, যোগেশগঞ্জ, দুলদুলি এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কল্পনা মণ্ডল, জয়ন্ত বর্মন বলেন, ‘‘পরীক্ষার সময়ে এক দিকে বিদ্যুৎ নেই। অন্য দিকে উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে পরীক্ষা দেব, জানি না।’’ এ দিনের ঝড়-বৃষ্টির ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিন্দী নদীর পাশে সীমান্ত-লাগোয়া কাঁঠালবেড়িয়া, চাঁড়ালখালি এবং সাহেবখালি ও তার আশেপাশের এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা রমেন মণ্ডল, ভবসিন্দু মণ্ডল, কল্পনা রায়, কণিকা রায় বলেন, ‘‘বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ রমাপুর গ্রামের কাছে রায়মঙ্গল নদী থেকে একটা কালো ধোঁয়া ভয়ঙ্কর শব্দে গ্রামের উপর আছড়ে পড়ে। পাঁচ-সাত মিনিট স্থায়ী ঝড় সব কিছু লন্ডভন্ড করে দিয়ে অন্য দিকে ঝড় চলে যায়।’’ সাহেবখালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমিয় মণ্ডল বলেন, ‘‘ঝড় ও বৃষ্টির কারণে এলাকার প্রায় ৬০-৬৫টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে এই তাণ্ডব চলেছে। গাছ মুচড়ে গিয়েছে। ওষুধের দোকানের টিন দূরে পড়েছে। সব কিছু বিডিওকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন