পেট্রাপোলে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
পণ্য রফতানি খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতি পালন করলেন পণ্য বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। এর ফলে সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশে রফতানি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পণ্য রফতানির খরচ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সে কথা রফতানিকারীদের জানালে তাঁরা সেই বাড়তি খরচ দিতে রাজি হচ্ছেন না। এর প্রতিবাদেই এ দিন বন্ধ।’’
কেন বা পণ্য রফতানি খরচ বেড়ে গেল?
শুল্ক দফতরের অফিসারদের একাংশের জন্যই খরচ বেড়েছে বলে দাবি অনেকের। পেট্রাপোল এক্সপোর্টস ইমপোর্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস জানান, বাণিজ্য-সংক্রান্ত নথিপত্র সব ঠিকঠাক রাখা হয়। কিন্তু তা পরীক্ষার নামে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে, নানা অজুহাতে শুল্ক দফতরের অফিসারদের একাংশ হয়রান করছেন। নিত্য-নতুন নিয়ম তৈরি করছেন। তাঁরাই ক্লিয়ারিং এজেন্টদের বাড়তি খরচের কথা জানাচ্ছেন বলে দাবি পরিতোষবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘এ সব নিয়ম করে আমাদের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’ রফতানিকারীদের বক্তব্য, ‘‘এমনিতে জিএসটি চালু হওয়ার পরে পণ্য রফতানি কমে গিয়েছে। ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার জন্য খরচ গুণতে হচ্ছে। তারপরে আর বাড়তি খরচ বহন করা সম্ভব নয়।’’
ক্যালকাটা কাস্টমস হাউস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানানো হয়েছে, জিএসটি চালু হওয়ার পরে তাঁরা বাণিজ্য-সংক্রান্ত সমস্ত কাজ চেক ও অনলাইনের মাধ্যমে করতে চান। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। সংগঠনের সভাপতি রাজু গোস্বামী বলেন, ‘‘আমরা চাই, চেক বা অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত কাজ হোক। তা না হলে আয়কর দফতরের ঝামেলার মধ্যে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়তি খরচের হিসেব আমরা দিতে পারব না।’’শুল্ক দফতরের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকী, ক্লিয়ারিং এজেন্টদের কর্ম বিরতির কথা তাঁরা জানেন না বলেও দাবি করেছেন। পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার রাহুল মাহাতো বলেন, ‘‘ক্লিয়ারিং এজেন্টরা আমাদের কিছু জানাননি। সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।’’