অ্যানিমিয়া প্রতিরোধের ট্যাবলেট পাচ্ছে না ছাত্রছাত্রী

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট পাচ্ছে না কাকদ্বীপের বেশিরভাগ স্কুলের পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্য দফতরের মাসকাবারি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট পাচ্ছে না কাকদ্বীপের বেশিরভাগ স্কুলের পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্য দফতরের মাসকাবারি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। দেখা যাচ্ছে, গত অর্থ বছরের শেষ তিন মাসে কাকদ্বীপে গড়ে ৬০ শতাংশ বাচ্চাই জরুরি এই ওষুধ পায়নি।

Advertisement

ডাক্তারি নথি অনুসারে, রাজ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বাচ্চা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার শিকার। আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড— এই দু’টি উপাদান শরীরে না যাওয়ায় অপুষ্ট বেশিরভাগ বাচ্চাই দুর্বল, নিরুৎসাহ হয়ে কাটাচ্ছে। মন নেই পড়াশোনায়। ২০১২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সব স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েদের সপ্তাহে একটি করে খনিজ উপাদান সম্পন্ন ওই ট্যাবলেট খাওয়ানোর প্রকল্প শুরু হয়েছে এ রাজ্যে।

কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, পাথরপ্রতিমার বেশিরভাগ স্কুলই ট্যাবলেট খাওয়ানোর তথ্য রাখছে না। বছরের পর বছর এই ধারা চলছে। কোনও কোনও স্কুল ট্যাবলেট খাওয়ানোর ব্যাপারে সরাসরি না করে দিয়েছে। কাকদ্বীপেও প্রায় একই অবস্থা। কোথাও আবার হাতে করে না খাইয়ে ট্যাবলেট দিয়ে দেওয়া হয় বাচ্চাদের। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, এমনটা করার কথা নয়।

Advertisement

ডাক্তাররা বলছেন, জরুরি এই ওষুধ খেলে বাচ্চাদের দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, নিরুৎসাহ ভাব যেমন কাটবে, তেমনই পড়াশোনায় মনোযোগ আসবে। গ্রামীণ অঞ্চলে বেশিরভাগ বাড়ির বাচ্চাই অপুষ্টির শিকার। তাই শরীরে বিভিন্ন স্তরের অ্যানিমিয়া বাসা বেঁধে থাকে।

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন থেকেই স্কুলের শিক্ষকেরা এই প্রকল্পে অসহযোগিতা করছেন। আমরা শিক্ষা দফতরের কর্তাদেরও বিষয়টি দেখতে বলেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে ফের বিষয়টি তুলব।’’ এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘এই ওষুধ খেলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। নির্ভয়ে খাওয়ানো যায়। স্কুলগুলি যে কেন তা বুঝতে চাইছে না, সেটা সত্যি দুর্ভাগ্যের।

জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাদলকুমার পাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন